Advertisement
৩০ এপ্রিল ২০২৪
Visva-Bharati University

সার্ন প্রকল্পের অর্থ আবার পাওয়ার সম্ভাবনা বিশ্বভারতীর

অর্থ বরাদ্দ ফিরে পেতে এবং সার্ন প্রকল্প থেকে তাঁকে সরিয়ে রাখার বিরুদ্ধে কলকাতা হাই কোর্টের মামলা করেন মানস।

Visva-Bharati University

বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়। —ফাইল চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
শান্তিনিকেতন শেষ আপডেট: ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ০৫:২৮
Share: Save:

আন্তর্জাতিক গবেষণা প্রকল্প সার্ন-এর যে অর্থ বরাদ্দ আটকে দেওয়া হয়েছিল, তা বিশ্বভারতী আবার পাওয়ার সম্ভাবনা উজ্জ্বল হয়েছে। সব ঠিকঠাক থাকলে ভারত সরকারের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিভাগ (ডিপার্টমেন্ট অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি বা ডিএসটি) ফের অর্থ অনুমোদন করবে ওই গবেষণা প্রকল্পের জন্য। তাতে উপকৃত হবেন বিশ্বভারতীর ছাত্রছাত্রীরা।

বিশ্বভারতী সূত্রে জানা গিয়েছে,পদার্থের মৌলিক ধর্ম এবং বিশ্বসৃষ্টির রহস্য জানার যে গবেষণা চলছে সার্ন-এর আওতায়, সেই কর্মকাণ্ডের অন্যতম শরিক বিশ্বভারতীর পদার্থবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক মানস মাইতি ও তাঁর কয়েক জন সহযোগী। ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে, বিশ্বভারতীর উপাচার্য থাকাকালীন বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপকদের আটকে রাখার অভিযোগ ওঠে। ওই ঘটনার প্রতিবাদ করেন মানস মাইতিও। এর পরেই তাঁকে সাসপেন্ড করেন বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। শুধু তাই নয়, সার্ন থেকে মানসকে সরানোর জন্য ডিএসটি-কে চিঠি লেখেন বিদ্যুৎ।

এর পরেই সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রীয় দফতর বিশ্বভারতীকে এই প্রকল্পের আর্থিক অনুদান বন্ধ করে দেয় হয় বলে সূত্রের খবর। এর ফলে গবেষকদের কাজের জন্য যে ২.৩ কোটি টাকা বরাদ্দ হত, তা থেকে বিশ্বভারতীকে বঞ্চিত হতে হয়। অর্থ বরাদ্দ ফিরে পেতে এবং সার্ন প্রকল্প থেকে তাঁকে সরিয়ে রাখার বিরুদ্ধে কলকাতা হাই কোর্টের মামলা করেন মানস। আদালত ওই অধ্যাপকের সাসপেনশন বাতিল করে কাজে ফেরত নেওয়া এবং প্রকল্পে যোগদানের অনুমোদন দেওয়ার জন্য বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেয়।

সূত্রের খবর, গত নভেম্বরে নতুন ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য হিসাবে সঞ্জয়কুমার মল্লিক দায়িত্বভার নেওয়ার পরে তিনি এই ব্যাপারে উদ্যোগী হন এবং ইতিবাচক পদক্ষেপ করেন। যার ফলে ফের সার্ন-এর জন্য অর্থের অনুমোদন দেওয়ার কাজ শুরু করেছে ভারত সরকারের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি দফতর। মানস বলেন, “অত্যন্ত আনন্দের খবর। বর্তমান কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানাই। আগামী দিনে বিশ্বের দরবারে বিশ্বভারতীর গৌরব বাড়বে।”

বিশ্বভারতীর ভারপ্রাপ্ত কর্মসচিব অশোক মাহাতো বলেন, ‘‘আদালতের নির্দেশ মতো মানসবাবুকে ওই কাজে যোগদানের জন্য আগেই ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে। শুনেছি ভারত সরকার সার্ন প্রজেক্ট এর অর্থের অনুমোদন দেওয়ার কাজ শুরু করেছে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE