বিশ্বভারতীর অনুষ্ঠানে উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী। —নিজস্ব চিত্র
ফের বিতর্কে বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদুৎ চক্রবর্তী। এ বার আশ্রম প্রাঙ্গনে প্রকাশ্যে বললেন, ‘‘এখানে অনুষ্ঠানে গাওয়া হবে না ‘আশ্রম সঙ্গীত’। এখানে আমরা সবাই রাজা, আমাদের রাজার রাজত্বে।’’
বিশ্বভারতীর সমস্ত অনুষ্ঠানে শেষে আশ্রম প্রাঙ্গনে ‘আশ্রম সঙ্গীত’ গাওয়াই রীতি। বিশ্বভারতীর তরফে ক্যাম্পাসের মধ্যেই রতনপল্লী এলাকায় গড়ে তোলা হয়েছে ‘রামকিঙ্কর মঞ্চ’। সেখানে মাঝে মধ্যেই অনুষ্ঠান করেন উপাচার্য বিদুৎ চক্রবর্তী। রবিবারও তেমনই একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে উপাচার্য বলেন, ‘‘বিশ্বভারতীর বুকে লিপিকা ও বাংলাদেশ ভবন প্রেক্ষাগৃহ আছে। তা সত্বেও কেন এই মঞ্চ আমরা গড়ে তুলেছি জানেন? আমরা এই মঞ্চ গড়েছি কারণ, ওখানে বেদমন্ত্র উচ্চারণ করে ‘আশ্রম সঙ্গীত’ দিয়ে শেষ করা হয়। সেখানে সাধারণ মানুষ ঢুকতে পারেন না। এর পরেই ‘আমরা সবাই রাজা…’ মন্তব্য করেন উপাচার্য। অনুষ্ঠান শেষে গাওয়া হয়নি ‘আশ্রম সঙ্গীত’ও।
স্বাভাবিক ভাবেই প্রাক্তনীরা প্রশ্ন তুলেছেন, বিশ্বভারতী ঘরানায় ‘আশ্রম সঙ্গীত’ গাওয়ার রীতিই কি তুলে দিতে চাইছেন না উপাচার্য? প্রাক্তনী নুরুল হক বলেন, ‘‘বিশ্বভারতীর বুকেই এক অন্য বিশ্বভারতী গড়ার চেষ্টা করছেন উপাচার্য। গড়া অনেক কঠিন, কিন্তু ভাঙা অনেক সহজ। সেই ভাঙার কাজেই মেতেছেন উপাচার্য।’’ বিশ্বভারতীর আশ্রমিক মণীষা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘আমরা জন্ম থেকে দেখে আসছি আশ্রম সঙ্গীত গাওয়ার রীতি। সেই রীতি ভেঙে উনি যদি অন্য রীতি প্রতিষ্ঠা করতে চান, তা হলে সেটা বিশ্বভারতীর বাইরে করতে পারেন।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy