মহাকুম্ভে গিয়ে বাংলার যাঁরা প্রাণ হারিয়েছেন, তাঁদের দেহের ময়নাতদন্ত করেনি উত্তরপ্রদেশ সরকার। রাজ্য তাঁদের দেহ আসার পরে রাজ্য সরকারকে তা করাতে হয়েছে। বুধবার এমনই অভিযোগ তুললেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পাশাপাশিই তিনি বলেন, ‘‘কত হাজার লোকের মৃত্যু হয়েছে, কত লাশ গঙ্গায় ভাসিয়ে দিয়েছে, তার ইয়ত্তা নেই।’’
সম্প্রতি বানতলা এলাকায় ম্যানহোল পরিষ্কার করতে নেমে তিন জন শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছিল। তা নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকার তথ্যানুসন্ধানের জন্য দল পাঠিয়েছে। রিপোর্টও তলব করেছে রাজ্যের কাছে। সেই প্রসঙ্গে প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে মমতা বলেন, ‘‘বানতলায় তিন জন মারা গিয়েছেন। ওই ঘটনা দুঃখজনক। কিন্তু এখানে রিপোর্ট চাইছে, কমিটি পাঠাচ্ছে আর মহাকুম্ভে কমিটি কই?’’ এর পরেই মহাকুম্ভের অব্যবস্থা নিয়ে সরব হন মমতা। তাঁর কথায়, ‘‘ওখানে কত হাজার লোক মারা গিয়েছে? কত বার আগুন লেগেছে? কে জবাব দেবে?’’
আরও পড়ুন:
বাংলার যাঁরা কুম্ভে গিয়ে প্রাণ হারিয়েছেন, তাঁদের পরিবারের হাতে কোনও মৃত্যুর শংসাপত্র (ডেথ সার্টিফিকেট) দেওয়া হয়নি বলে দাবি মমতার। তাঁর কথায়, ‘‘যে কাগজ দিয়েছে তাতে শুধু হাসপাতালের নাম রয়েছে। কারও সই নেই। কী ভাবে মারা গিয়েছে তার উল্লেখ নেই। ক্ষতিপূরণ পাবে কী ভাবে? এখানে দেহ আনার পরে আমরা পোস্ট মর্টেম করিয়েছি। যাতে পরিবারের লোক মৃত্যু শংসাপত্র পান।’’
কুম্ভের সঙ্গে কোভিড-কালের কথাও টেনে আনেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর কথায়, ‘‘কোভিডের সময়ে যেমন লাশ ভাসিয়ে দেওয়া হয়েছিল গঙ্গায়, এ বারও তেমন করা হয়েছে।’’ ফের এক বার গঙ্গাসাগরের প্রসঙ্গ তোলেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর কথায়, ‘‘গঙ্গাসাগরে যখন কোটি কোটি মানুষ আসেন, তখন আমি যাই না। কারণ তাতে মানুষের অসুবিধা হবে। আর ওখানে ভিভিআইপিদের জন্য ব্যবস্থা করতে গিয়ে সাধারণ মানুষকে প্রাণে মারা হয়েছে।’’ উল্লেখ্য, গত সপ্তাহে প্রয়াগে কুম্ভস্নান করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। অনেকের মতে, নাম না করে সেটাই উল্লেখ করতে চেয়েছেন মমতা।