কার্শিয়াং টাউন হলে প্রশাসনিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ছবি— পিটিআই।
দার্জিলিং সমস্যার স্থায়ী সমাধানের পরিকল্পনা তৈরি করুন পাহাড়ের নেতারাই। ডিসেম্বরের শুরুতে সেই প্রস্তাব মুখ্যমন্ত্রীর কাছে জমা দিতে হবে। এমনটাই নির্দেশ দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উত্তরবঙ্গ সফরের তৃতীয় দিন প্রশাসনিক বৈঠক ছিল কার্শিয়ং-এ। হাজির ছিলেন দার্জিলিং, কালিম্পং-এর প্রশাসনিক আধিকারিক এবং পাহাড়ের রাজনৈতিক নেতারা। টাউন হলের বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী ওই প্রস্তাব দেন। পাশাপাশি ভোটার তালিকা সংশোধন শেষ হলে জিটিএ ভোট করানো হবে বলেও মঙ্গলবার জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
টাউন হলের প্রশাসনিক বৈঠকে অনীত থাপা, গৌতম দেব, রোশন গিরিদের উপস্থিতিতে বিজেপি-র নাম না করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘ভোটের আগে একটি রাজনৈতিক দল আসে, বিভাজনের রাজনীতি করে আসন জিতে নেয়, কিন্তু সমস্যার সমাধান হয় না। এদের উদ্দেশ্য পাহাড়ের মানুষের মধ্যে বিভাজন তৈরি করা।’’ তাঁর কথায়, ‘‘তোমাদের আমি বলি, তোমরাই আমাকে পরিকল্পনা দাও, যে কী করে একটি স্থায়ী সমাধান করা যায়। দার্জিলিং বাংলার মধ্যে থাকবে, আমি তোমাদের মদত করব। যাতে তোমাদের ছেলেমেয়েরাই নিজের পায়ে দাঁড়াতে পারে।’’
থমকে থাকা জিটিএ ভোট এবং পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়েও নিজের মতামত জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর বক্তব্য, ‘‘ভোটার তালিকার কাজ শেষ হলেই জিটিএ নির্বাচন হবে।’’ দার্জিলিংয়ে পঞ্চায়েত ব্যবস্থা দ্বিস্তরীয়। রাজ্যের অন্যান্য জায়গার মতো ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েত করতে সংবিধান সংশোধন করার কথাও ভাবা হচ্ছে বলে উল্লেখ করেন তিনি। পাহাড়ের রাজনৈতিক দলগুলোকে নিজেদের মধ্যে ঝগড়া মেটানোর বার্তাও দেন মুখ্যমন্ত্রী।
সম্প্রতি পাহাড় নিয়ে বৈঠক ডেকেছিল কেন্দ্রীয় সরকার। অভিযোগ, তাতে ডাক পাননি প্রথম সারির রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরা। এই প্রেক্ষিতে দার্জিলিং পাহাড়ের রাজনৈতিক নেতাদের কাছে স্থায়ী সমাধানের পরিকল্পনা তৈরির ভার দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। পাশাপাশি জানিয়ে দিলেন, উন্নয়নের মাধ্যমেই দার্জিলিং সমস্যার সমাধান করতে চায় রাজ্য সরকার। জিটিএ-র কাজে বাড়তি নজরদারির জন্য দার্জিলিংয়ের জেলা শাসক এস পুন্নমবলমকে দায়িত্ব দেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy