শুরুতে ছিল ১৪টি, এখন তা বেড়ে হল ১৬। আজ, শনিবার থেকে ‘আমাদের পাড়া, আমাদের সমাধান’ কর্মসূচিতে নতুন দু’টি কাজ যুক্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার। তার মধ্যে একটি ‘রাস্তা’। অপরটি ‘অন্যান্য’। বিশ্লেষকদের একাংশের মতে, গোটা রাজ্যে সড়কের যে হাল, তাতে মানুষের ভোগান্তি বাড়ছে। তা ঠেকাতেই রাস্তার কাজটি অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। তবে আধিকারিকদের একাংশ এ-ও মনে করছেন, প্রধানমন্ত্রী সড়ক যোজনার বরাদ্দ হয়তো চালু হওয়ার পথেই।
পাড়া-কর্মসূচি ঘোষণার পরে সব জেলা প্রশাসনকে কাজের যে তালিকা পাঠানো হয়েছিল, তাতে নিকাশি, জল সরবরাহ, রাস্তার আলো, জন-শৌচাগার, আইসিডিএস-প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সংস্কার, পুকুর ও জলাভূমি সংরক্ষণ, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, সাধারণের এবং বাজার এলাকার উন্নয়ন, সাংস্কৃতিক পরিকাঠামো, গণ-পরিবহণ, সবুজায়ন এবং বৈদ্যুতিন কাজ। সংশোধিত নির্দেশে বলা হয়েছে, এগুলির সঙ্গে যুক্ত হবে সড়ক মেরামত এবং অন্যান্য কাজ। প্রশাসনিক এলাকার (পুরসভা-পঞ্চায়েত) বদলে নির্বাচনী এলাকা (বুথ) ধরে এই কর্মসূচি গ্রহণ করা হলেও, রাজ্যের বেশির ভাগ অংশ হিসেবে গ্রামাঞ্চলকেই নজরে রাখা হয়েছে। সেই সব এলাকায় রাস্তার পরিস্থিতি যথেষ্ট খারাপ হচ্ছে ক্রমশ। রাস্তার পরিস্থিতি নিয়ে বাড়ছে এলাকাবাসীর মধ্যে ক্ষোভ-বিক্ষোভও। আধিকারিকদের একাংশ মনে করিয়ে দিচ্ছেন, গত নির্বাচনের আগে এলাকায় এলাকায় ঘুরে মানুষের যে মনোভাব বোঝার চেষ্টা প্রশাসন করেছিল, তাতে বেশিরভাগ অভিযোগ ছিল রাস্তার বেহাল দশা নিয়েই। এই কর্মসূচি শুরুর ঠিক আগে রাস্তা মেরামতের বিষয়টি তালিকাভুক্ত হওয়াকে অর্থবহ বলে মনে করছেন আধিকারিকদের একাংশ।
অন্য দিকে প্রশাসনিক মহলের খবর, প্রায় দু’বছর ঝুলে থাকার পরে বেশ কয়েক মাস আগে অন্তত ৩৩০০ কিলোমিটার রাস্তার অনুমোদন দিয়েছে কেন্দ্র। এ বাবদ আসবে সড়ক যোজনার অর্থও। তবে এই খাতে প্রকল্প খরচের ৬০ ভাগ দেয় কেন্দ্র, বাকি ৪০ ভাগ রাজ্যের তরফে হয়ে থাকে। যদিও এখনও রাজ্যের দাবি মতো প্রায় আড়াই হাজার কিলোমিটার রাস্তার অনুমোদন এখনও বাকি। তাই অভিজ্ঞ কর্তাদের একাংশের অনুমান, হয়তো এই খাতে বরাদ্দ চালু হতে চলেছে। তাই সড়কের বিষয়টি হয়েছে তালিকাভুক্ত।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)