E-Paper

সেচ দফতরের দেড়শো কোটি

নবান্নের সাম্প্রতিক সিদ্ধান্ত, সেচ দফতরের অধীনে সাতটি ডিরেক্টরেটকে ওই বরাদ্দ ভাগ করে দেওয়া হবে। তুলনায় সবচেয়ে বেশি বরাদ্দ পাচ্ছে দক্ষিণ শাখা, ৩৮ কোটি টাকা।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১২ মার্চ ২০২৫ ০৭:৪২

— প্রতীকী চিত্র।

প্রাক্‌-বর্ষা মরসুমে প্রস্তুতি হিসেবে প্রাথমিক ভাবে সেচ দফতরের জন্য দেড়শো কোটি টাকা বরাদ্দ করল রাজ‍্য সরকার। তা দিয়ে বন‍্যা মোকাবিলার সরঞ্জাম বা পরিকাঠামোর ছোটখাটো সংস্কার করা হবে। তবে এই কাজে এই বরাদ্দের পরিমাণ আরও বাড়ানো প্রয়োজন ছিল কি না, তা নিয়ে চর্চা রয়েছে প্রশাসনের অন্দরে।

নবান্নের সাম্প্রতিক সিদ্ধান্ত, সেচ দফতরের অধীনে সাতটি ডিরেক্টরেটকে ওই বরাদ্দ ভাগ করে দেওয়া হবে। তুলনায় সবচেয়ে বেশি বরাদ্দ পাচ্ছে দক্ষিণ শাখা, ৩৮ কোটি টাকা। বলা হয়েছে, এই অর্থ দিয়ে বাঁশ, বল্লা, বালির ব‍্যাগ, মাটি, বালি এবং সাময়িক ভাবে ব‍্যবহারের জন‍্য পাম্পের মতো বন‍্যা মোকাবিলার সরঞ্জাম সংগ্রহ করা যাবে। বাকি অর্থে স্লুইস গেটের রক্ষণাবেক্ষণ, বন‍্যা কবলিত এলাকাগুলিতে বাঁধের ছোটখাটো মেরামতি, নদীর পাড়, নিকাশি এবং সেচ খালগুলির সংস্কার করতে হবে। ৩১ মে-র মধ্যে প্রয়োজনীয় সব কাজের
সবিস্তার প্রকল্প রিপোর্ট জমা করতে বলা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, ইতিমধ্যেই বর্ষার সময়ে বন‍্যা পরিস্থিতি নিয়ে আগাম প্রস্তুতি রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ‍্য। জলাধারগুলি থেকে জল ছাড়ার ব‍্যপারে এখন থেকেই সংশ্লিষ্ট দফতরের কর্তাদের সতর্ক থাকতে বলা হচ্ছে। এ ব্যাপারে বিহার-ঝাড়খণ্ডের সঙ্গে নিবিড় সমন্বয় রাখার নির্দেশও পেয়েছেন কর্তাদের অনেকেই। তবে প্রশাসনের অন্দরের চর্চা— প্রাক্‌-বর্ষা প্রস্তুতিতে এই পরিমাণ অর্থ কি যথাযথ! যদিও অভিজ্ঞ কর্তাদের একাংশের ব্যাখ্যা, এই বরাদ্দ ২০২৫-২৬ বছরের জন্য প্রাথমিক। পরে প্রয়োজন মতো আরও বরাদ্দ হতে পারে। তা ছাড়া বিশ্ব‍ব‍্যাঙ্কের বিপুল ঋণে উচ্চ এবং নিম্ন অববাহিকার নদীগুলির সংস্কারের বড় প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে।

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Irrigation department West Bengal government

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy