গ্রন্থাগার মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী। —ফাইল ছবি।
জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলন নিয়ে রাজ্যের মন্ত্রীদের মুখ খুলতে বারণ করে দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই নির্দেশের তোয়াক্কা না করেই জুনিয়র ডাক্তারদের নিয়ে বির্তকিত মন্তব্য করলেন রাজ্যের গ্রন্থাগার মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী। তিনি আন্দোলনকারী চিকিৎসকদের উদ্দেশে জানান, রাজনীতি করতে হলে ডাক্তারি ছেড়ে দিন তাঁরা। মাঠে নেমে দেখুন, সমর্থন কার দিকে রয়েছে।
বৃহস্পতিবার বর্ধমানের জেলাশাসকের দফতরে জেলার বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে বৈঠক হয়। সেখানে উপস্থিত ছিলেন সিদ্দিকুল্লা। বৈঠক শেষে তিনি বলেন, ‘‘আপনারা রাজনীতির লোক নন। আর যদি রাজনীতি করতে হয়, তা হলে ডাক্তারি ছেড়ে দিন। মাঠে নেমে দেখুন সাধারণ মানুষ কাদের দিকে রয়েছে!’’ এখানেই থামেননি রাজ্যের মন্ত্রী। তিনি আরও বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী তো বলেছেন, তিনিও বিচার এবং ফাঁসি চান। আসলে কোথায় থামতে হয়, এঁরা জানেন না।’’ মন্ত্রীর আরও দাবি, জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলনের নেপথ্যে অন্য কেউ রয়েছেন। তিনি বলেন, ‘‘সুপ্রিম কোর্টে বড় বড় আইনজীবীদের দাঁড় করাচ্ছেন জুনিয়র ডাক্তারেরা। এত টাকা কোথা থেকে পাচ্ছেন? তাঁরা ক’টা টাকা মাইনে পান? তাঁদের আয় কী? আমি আগেও বলেছি, এখনও বলছি, কেউ তো নিশ্চয় নেপথ্যে রয়েছেন। কেউ তো তাঁদের সাহায্য করছেন নেপথ্যে থেকে।’’ এর পর মন্ত্রী চিকিৎসকদের কাজে ফেরার ডাকও দিয়েছেন।
গত ১০ সেপ্টেম্বর নবান্নে মন্ত্রিসভার বৈঠক করে মুখ্যমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছিলেন, আরজি কর-কাণ্ড, জুনিয়র ডাক্তারদের কর্মবিরতি, সাধারণ মানুষের প্রতিবাদ নিয়ে কোনও মন্তব্য নয়। নবান্ন সূত্রে খবর, মুখ্যমন্ত্রী জানিয়ে দিয়েছেন, এই আন্দোলনের বিষয়ে যা বলার তা শুধু তিনিই বলবেন। মন্ত্রীদের শুধুই নিজের এলাকায় কাজে মন দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। নবান্ন সূত্রে খবর ছিল, মুখ্যমন্ত্রী জানান, কাউকে কিছু বলতে হবে না। কেউ মুখ খুলবেন না। পুজো আসছে। নিজের নিজের এলাকায় থেকে কাজে মন দিতে বলেন তিনি। এলাকার পরিবেশ, পরিস্থিতি যাতে ভাল থাকে, সে দিকে নজর দেওয়ার নির্দেশ দেন। মুখ্যমন্ত্রী এ-ও জানান, কোনও কোনও এলাকায় প্রাকৃতিক দুর্যোগের পূর্বাভাস রয়েছে। সেখানে অতিরিক্ত দায়িত্ব নিয়ে মন্ত্রীদের কাজ করার নির্দেশ দেন তিনি। কে কী বলছে, তাতে কান দিতেও বারণ করেন। যদিও তার পরেও রাজ্যের নেতা-মন্ত্রীরা এই নিয়ে মন্তব্য করেছেন। এ বার মন্তব্য করলেন সিদ্দিকুল্লা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy