অভিযোগ আর কৌতূহলের কেন্দ্রে থাকা বিধাননগরে শেষ হাসি কার? কোন ফুলে সমর্থন চন্দননাগরিকদের? প্রেমদিবসে আপাত-শান্ত শিলিগুড়ি লাল না সবুজ, কোন রংয়ের আবির খেলবে? হাজারো কাণ্ডের পরে কাকে বরণ করে নিচ্ছেন আসানসোলের পুরবাসী? চার পুর নিগমের এই ধরনের যাবতীয় নির্বাচনী প্রশ্নের উত্তর মিলবে আজ, সোমবার।
ভোটগণনার সূচনা পর্বেই অবশ্য একটি বিরোধ থাকছে বড় জায়গা জুড়ে। রাজ্যের শতাধিক পুরসভার ভোট সুদীর্ঘ কাল বকেয়া থাকায় বিরোধী শিবির যে-ভাবে দ্রুত সেই নির্বাচন করার দাবি তুলছিল, একই ভাবে তাদের দাবি ছিল, মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন (পুর নিগম) হোক বা মিউনিসিপ্যালিটি (পুরসভা)— সব পুরসভারই ভোট গুনতে হবে একসঙ্গে। বিধাননগর, চন্দননগর, আসানসোল ও শিলিগুড়ি— শনিবার এই চার পুর নিগমের ভোট হয়েছে এবং রাজ্যে অন্য শতাধিক পুরসভারও ভোট ঘোষণা হয়ে গিয়েছে। বিরোধী শিবির চার পুর নিগম আর সেই সব পুরসভার ভোটগণনা একসঙ্গে করার দাবি তুললেও আজ, সোমবার শুধু সদ্য-সমাপ্ত চারটি পুর নিগমেরই ভোটগণনা হচ্ছে। সকাল ৮টায় গণনা শুরু হওয়ার কথা। দুপুরের মধ্যে ভোট-ছবি স্পষ্ট হয়ে যাবে বলে রাজ্য নির্বাচন কমিশন সূত্রের ধারণা।
আসানসোল, বিধাননগর, চন্দননগর ও শিলিগুড়ি— প্রতিটি পুর নিগমেরই ভোট গোনা হবে সংশ্লিষ্ট এলাকার একটি করে কেন্দ্রে। আসানসোল পলিটেকনিক কলেজের কেন্দ্রে সাতটি কক্ষে গণনা হবে। সর্বনিম্ন পাঁচটি এবং সর্বাধিক ১৪টি টেবিল থাকবে।
২২ রাউন্ডের মধ্যে গণনার কাজ শেষ হবে। বিধাননগর কলেজে ১২টি কক্ষের প্রতিটিতে দু’টি থেকে ছ’টি টেবিলে গণনা হবে। আট থেকে চোদ্দো রাউন্ডের মধ্যে গণনা শেষ হতে পারে। চন্দননগর কানাইলাল বিদ্যামন্দিরের (ইংরেজি) দু’টি কক্ষে ১১টি করে টেবিল থাকবে। সর্বাধিক ১১টি রাউন্ড গণনা চলার কথা। শিলিগুড়ি কলেজের ১২টি কক্ষের প্রতিটিতে ছ’-সাতটি টেবিল রাখার পরিকল্পনা আছে। সমসংখ্যক রাউন্ডে ভোটগণনা শেষ হতে পারে।
ভোটগণনায় নিরাপত্তা ও কোভিড বিধি কঠোর ভাবে প্রয়োগের উপরে বিশেষ জোর দিয়েছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। অবাঞ্ছিত ভিড় এড়াতে কয়েকটি স্তরে নিরাপত্তার ব্যবস্থা থাকছে গণনা কেন্দ্রে। সংশ্লিষ্ট এলাকার ২০০ মিটার বৃত্তে জারি থাকবে ১৪৪ ধারা। কোভিড সুরক্ষা বিধি অনুযায়ী টিকা নিলে অথবা কোভিড নেগেটিভ রিপোর্ট থাকলে তবেই প্রবেশাধিকার থাকবে গণনা এজেন্টদের।
শনিবার যে-চারটি পুর নিগমের ভোট হয়েছে, রবিবার সেই সব ক্ষেত্রেই চূড়ান্ত ভোটের হার জানিয়েছে কমিশন। তাদের হিসেব: শিলিগুড়ি পুর নিগমে ৭৪.৩২%, চন্দননগরে ৭৩.৮০%, বিধাননগরে ৭২.০৫% এবং আসানসোল পুর নিগমে ৭৩.২১% ভোট পড়েছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রের দাবি, এই হার গত বার পুরভোটের তুলনায় বেশ কম।