Advertisement
E-Paper

শিক্ষকদের আন্দোলনে শাসক দলের নেতারাও

পিটিটিআই পাশ করা সকলকে নিয়োগ, অন্যান্য রাজ্যের মতো প্রাথমিক শিক্ষকদের জন্য উচ্চ মাধ্যমিক পাশ শিক্ষকদের সমতুল বেতন চালু করা এবং অন্যান্য দাবিতে আন্দোলনে নামতে চলেছে ওয়েস্ট বেঙ্গল প্রাইমারি ট্রেন্ড টিচার্স অ্যাসোসিয়েশন (ডব্লিউবিপিটিটিএ)।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৬ মার্চ ২০১৮ ০৩:১৮
প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

পার্শ্বশিক্ষকদের দাবিদাওয়ায় এবং বকেয়া মহার্ঘ ভাতার দাবিতে গলা মিলিয়েছেন শাসক দলের কর্মীদের একাংশও। এ বার প্রাথমিক শিক্ষক প্রশিক্ষণ কোর্স বা পিটিটিআই উত্তীর্ণদের নিয়েও রাজ্য সরকারের কি অস্বস্তি বাড়তে চলেছে! একটি প্রাথমিক শিক্ষক সংগঠনের বৈঠকে নেওয়া আন্দোলনের সিদ্ধান্তে অন্তত তেমনই ইঙ্গিত মিলেছে। প্রস্তাবিত আন্দোলনের নেতৃত্বে আছেন শাসক দলেরই কয়েক জন পদাধিকারী।

পিটিটিআই পাশ করা সকলকে নিয়োগ, অন্যান্য রাজ্যের মতো প্রাথমিক শিক্ষকদের জন্য উচ্চ মাধ্যমিক পাশ শিক্ষকদের সমতুল বেতন চালু করা এবং অন্যান্য দাবিতে আন্দোলনে নামতে চলেছে ওয়েস্ট বেঙ্গল প্রাইমারি ট্রেন্ড টিচার্স অ্যাসোসিয়েশন (ডব্লিউবিপিটিটিএ)। আন্দোলনের রূপরেখা স্থির করতে রবিবার গোপনে বৈঠক করেন সংগঠনের নেতৃত্ব। তাঁদের মতে, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ক্ষমতায় এসে জানিয়েছিলেন, পিটিটিআই উত্তীর্ণ সকলেরই চাকরির ব্যবস্থা করা হবে ধাপে ধাপে। কিন্তু সাত বছরে (তৃণমূল সরকারের বয়স) নিয়োগ হয়েছে মাত্র পাঁচ হাজার। পিটিটিআই পাশ দশ হাজার প্রার্থী চাকরি পাননি।

উচ্চ মাধ্যমিকে ৫০ শতাংশ নম্বর পেয়ে এবং একটি ব্রিজ কোর্স করে শিক্ষকতা করেছেন পিটিটিআই পাশ প্রার্থীরা। সংগঠনের এক নেতা বলেন, ‘‘অন্য রাজ্যে ন্যাশনাল কাউন্সিল ফর টিচার এডুকেশন (এনসিটিই)-এর নিয়ম অনুয়ায়ী উচ্চ মাধ্যমিক পাশ প্রার্থীদের বেতন পাচ্ছেন শিক্ষকেরা। অথচ আমাদের রাজ্যে মাধ্যমিক পাশ প্রার্থীর সমান বেতন দেওয়া হচ্ছে।’’ মুখ্যমন্ত্রী ছাড়াও শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে এই বিষয়ে একাধিক চিঠি দেওয়া হয়েছে। কিন্তু কারও কাছ থেকেই এখনও কোনও রকম সাড়া মেলেনি বলে জানান সংগঠনের নেতারা। শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনাও হলেও তা ফলপ্রসূ হয়নি। তাই আন্দোলন। ওই নেতাদের মধ্যে বেশ কয়েক জন বিভিন্ন জেলায় শাসক দলের পদাধিকারী। ডব্লিউবিপিটিটিএ-র সভাপতি পিন্টু পাড়ুই বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী সব বিষয়েই মানবিক হতে বলেন। তাঁর কাছে আমাদের আবেদন, বিষয়টি তিনি দেখুন। পিটিটিআই পড়ুয়াদের চাকরির বয়স পেরিয়ে যাচ্ছে। তাঁদের অনেকে আত্মহত্যার কথা ভাবছেন। এটা অত্যন্ত বেদনার।’’ এই প্রসঙ্গে পশ্চিমবঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যের বক্তব্য, ‘‘প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত টেট-উত্তীর্ণেরা সকলেই চাকরি পেয়েছেন। বেতন নিয়ে বক্তব্য থাকলে বেতন কমিশনে অভিযোগ জানাতে পারেন।’’

Education WBPTTA PTTA TMC Agitation পিটিটিআই
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy