Advertisement
E-Paper

শিল্প বান্ধবের দৌড়েও পিছিয়ে পড়ল বাংলা

লগ্নি-বান্ধব হতে সরকারি নিয়ম কানুন শিথিল করতে বলা হয়েছিল। বিশ্বব্যাঙ্কের পরামর্শে কেন্দ্রীয় সরকার তা রাজ্যগুলিকে জানিয়েও দিয়েছিল। তবু গত দু’বছরে ‘ইজ অব ডুইং বিজনেস’ (ইওডিবি) র‌্যাঙ্কিং-এ চার ধাপ নেমে গিয়েছে পশ্চিমবঙ্গ।

জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায়

শেষ আপডেট: ২১ এপ্রিল ২০১৭ ০৩:৫২

লগ্নি-বান্ধব হতে সরকারি নিয়ম কানুন শিথিল করতে বলা হয়েছিল। বিশ্বব্যাঙ্কের পরামর্শে কেন্দ্রীয় সরকার তা রাজ্যগুলিকে জানিয়েও দিয়েছিল। তবু গত দু’বছরে ‘ইজ অব ডুইং বিজনেস’ (ইওডিবি) র‌্যাঙ্কিং-এ চার ধাপ নেমে গিয়েছে পশ্চিমবঙ্গ।

অথচ তালিকার শীর্ষে পৌঁছনোর লক্ষ্যে কমিটি হয়েছে, নানা পদ্ধতির সরলীকরণ হয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে, বৈঠকও হয়েছে একাধিক। তার পরেও কর সংস্কার, পরিবেশ ও শ্রম ছাড়পত্রে কিছু উন্নতি হলেও ‘এক জানলা’ পদ্ধতি, নির্মাণে ছাড়পত্র, ইনস্পেক্টর রাজ, বিচার ব্যবস্থা এবং বিচার প্রক্রিয়া সংক্রান্ত সংস্কারে অনেকটাই পিছিয়ে পড়েছে রাজ্য। এর মধ্যে ২০১৭-এ আরও একগুচ্ছ সংস্কার কর্মসূচি পাঠিয়েছে কেন্দ্র, যা সময়ের মধ্যে কার্যকর করতে না-পারলে লগ্নি-বান্ধব ভাবমূর্তি ধরে রাখাটাই প্রশ্নের মুখে দাঁড়াবে বলে মনে করছে শিল্প দফতরের একাংশ।

নরেন্দ্র মোদী ক্ষমতায় আসার পর ২০১৫-এ বিশ্বব্যাঙ্ক এবং ডিপার্টমেন্ট অব ইন্ডাস্ট্রিয়াল পলিসি অ্যান্ড প্রমোশন (ডিআইপিপি) যৌথ ভাবে একটি ‘বিজনেস রিফর্মস অ্যাকশন প্ল্যান’ তৈরি করে। যার মোদ্দা কথা হল, লগ্নির পথ প্রশস্ত করতে রাজ্যগুলিকে উদ্যোগ নিতে হবে। এ জন্য কোথাও সরকারি নিয়ন্ত্রণ শিথিল করে বা নিয়মের সরলীকরণ করে বিনিয়োগ নিশ্চিত করার পরামর্শ দিয়েছিল কেন্দ্র। বিশ্বব্যাঙ্ক ও কেন্দ্রের বক্তব্য ছিল— লাল ফিতের ফাঁস কমলেই বিনিয়োগ বাড়বে।

আরও পড়ুন: নারদ জয়ন্তীও করবে সঙ্ঘ

রাজ্য শিল্প দফতরের খবর, রাজ্যগুলির মধ্যে ‘র‌্যাঙ্কিং’ করতে কেন্দ্র প্রথম বছর ৯৮টি সংস্কারের পরামর্শ দিয়েছিল। তাতে লক্ষ্যমাত্রার ৪৭% পূরণ করে বাংলার স্থান হয়েছিল ১১ তম। সে বছর ৭১% সংস্কার করে গুজরাত ছিল প্রথম স্থানে। তার পরেই অন্ধ্রপ্রদেশ ও ঝাড়খণ্ড। পরের বছর আরও ৫৮টি ক্ষেত্রে সংস্কারের কথা বলা হয়। রাজ্য লক্ষ্যমাত্রার ৮৪% কাজ করে ফেলে। কিন্তু অন্য রাজ্যগুলি প্রায় ১০০% কাজ করে ফেলায় রাজ্যের স্থান ১১ থেকে নেমে দাঁড়িয়েছে ১৫-য়। প্রথম স্থানে যুগ্ম ভাবে অন্ধ্রপ্রদেশ ও তেলঙ্গানা। দ্বিতীয় ও তৃতীয় হয় যথাক্রমে গুজরাত ও ছত্তীসগঢ়।

অথচ শীর্ষ স্তরে পৌঁছতে চেষ্টার কোনও ত্রুটি রাখেনি সরকার— বলছেন শিল্প দফতরের এক কর্তা। প্রথমে শিল্পমন্ত্রী অমিত মিত্র, পরে তাঁকে সরিয়ে মুখ্যসচিবের নেতৃত্বে একটি কমিটি গড়ে দেন মুখ্যমন্ত্রী। এ বার সেই দায়িত্ব তুলে দেওয়া হয়েছে শিল্পসচিব রাজীব সিংহের উপর। ওই কর্তা জানান, রাজ্যে বকেয়া সংস্কারের কাজই এখনও শেষ হয়নি। এরই মধ্যে নতুন করে প্রায় ৪০টি ক্ষেত্রে সরকারি নিয়ন্ত্রণ শিথিল করে বিনিয়োগ-পদ্ধতি আরও সরল করার ফরমান এসে গিয়েছে দিল্লি থেকে। তার ভিত্তিতেই তৈরি হবে ২০১৭ সালের র‌্যাঙ্কিং।

EODB rankings EODB World Bank West Bengal Industry-friendly
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy