Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪
State News

মাধ্যমিকে প্রথম সঞ্জীবনী, দ্বিতীয় শীর্ষেন্দু, মেধা তালিকায় জেলার জয়জয়কার

মাধ্যমিকে প্রথম স্থান অধিকার করেছে কোচবিহারের সুনীতি অ্যাকাডেমির সঞ্জীবনী দেবনাথ, প্রাপ্ত নম্বর ৬৮৯। দ্বিতীয় হয়েছে শীর্ষেন্দু সাহা। তার প্রাপ্ত নম্বর ৬৮৮। শীর্ষেন্দু বর্ধমানের সাতগাছিয়া হাইস্কুলের পড়ুয়া।

মাধ্যমিকে প্রথম সঞ্জীবনী এবং দ্বিতীয় শীর্ষেন্দু। —নিজস্ব চিত্র।

মাধ্যমিকে প্রথম সঞ্জীবনী এবং দ্বিতীয় শীর্ষেন্দু। —নিজস্ব চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ০৬ জুন ২০১৮ ০৬:০০
Share: Save:

কলকাতাকে ছাপিয়ে এ বারও মাধ্যমিকে জেলাগুলোর জয়জয়কার। পাশের হারে সবার উপরে পূর্ব মেদিনীপুর, কিন্তু মেধা তালিকায় বাকি সবাইকে ছাপিয়ে গিয়েছে কোচবিহার আর বাঁকুড়া।

এ বার প্রথম স্থান অধিকার করেছে কোচবিহারের সুনীতি অ্যাকাডেমির সঞ্জীবনী দেবনাথ। তার প্রাপ্ত নম্বর ৬৮৯।

দ্বিতীয় হয়েছে শীর্ষেন্দু সাহা। তার প্রাপ্ত নম্বর ৬৮৮। শীর্ষেন্দু পূর্ব বর্ধমানের সাতগাছিয়া হাইস্কুলের পড়ুয়া।

৬৮৭ নম্বর পেয়ে তৃতীয় হয়েছে তিন জন— কোচবিহারের সুনীতি অ্যাকাডেমির ময়ূরাক্ষী সরকার, জলপাইগুড়ি জেলা স্কুলের নীলব্জ দাস এবং মৃণ্ময় মণ্ডল।

চতুর্থ হয়েছে উত্তর ২৪ পরগনার হাবড়ার প্রফুল্লনগর বিদ্যামন্দিরের দীপ গায়েন (৬৮৬)।

৬৮৫ নম্বর পেয়ে মাধ্যমিকে পঞ্চম হয়েছে পাঁচ জন— উত্তর ২৪ পরগনার সুনীতি অ্যাকাডেমির অঙ্কিতা দাস, বাঁকুড়ার গোগড়া হাই স্কুলের সৌমি নন্দী, বাঁকুড়ার বিবেকানন্দ শিক্ষানিকেতনের সৃজা পাত্র, পশ্চিম মেদিনীপুরের শ্রীরামকৃষ্ণমিশন বিদ্যাভবনের অনীক জানা ও নদিয়ার কাঁচড়াপাড়া হারনেট হাই স্কুলের প্রথমকান্তি মজুমদার।

৬৮৪ নম্বর পেয়ে ষষ্ঠ হয়েছে পাঁচ জন। কোচবিহারের দিনহাটা হাই স্কুলের সুমিত বাগচি, জলপাইগুড়ির সেন্ট্রাল গার্লস হাই স্কুলের নীধি চৌধুরী, বর্ধমানের পারুলিয়া কে কে হাই স্কুলের অরিত্রিকা পাল ও কান্দারা জ্ঞানদাস মেমোরিয়াল হাই স্কুলের প্রতিমান দে, বাঁকুড়া মিশন গার্লস হাই স্কুলের শ্রুতি সিংহমহাপাত্র ও বীরভূমের নবনালন্দা শান্তিনিকেতন হাইস্কুলের রৌনক সাহা।

বাঁ-দিক থেকে অনীক জানা (পঞ্চম), প্রতিমান দে (ষষ্ঠ), অগ্নিভ সিংহ (দশম) এবং অরিত্রিকা পাল (ষষ্ঠ)। —নিজস্ব চিত্র।

৬৮৩ নম্বর পেয়ে সপ্তম হয়েছে পাঁচ জন। কোচবিহারের মণীন্দ্রনাথ হাইস্কুলের মহাশ্বেতা হোমরায়, বর্ধমানের মি‌উনিসিপ্যাল হাই স্কুলের দেবাঞ্জন ভট্টাচার্য ও সুলতানপুর তুলসিদাল হাই স্কুলের অরিন্দম ঘোষ, দক্ষিণ দিনাজপুরের রামকৃষ্ণ বিবেকানন্দ মিশন বিদ্যাভবনের পারমিতা মণ্ডল এবং কলকাতার বরাহনগর রামকৃষ্ণ মিশন হাই স্কুলের সার্থক তালুকদার।

সার্থক কলকাতায় সর্বোচ্চ নম্বরপ্রাপ্ত।

৬৮২ নম্বর পেয়ে অষ্টম হয়েছে ন’জন। কোচবিহারের রামভোলা হাই স্কুলের দেবস্মিত রায়, আলিপুরদুয়ারের কামাখ্যাগুড়ি হাই স্কুলের তাপস দেবনাথ, দক্ষিণ দিনাজপুরের বাঁশীহারি হাই স্কুলের জুমানা নারজিস, মালদহের এ সি ইন্সটিটিউশনের অরিন্দম সাহা, বাঁকুড়ার বিবেকানন্দ শিক্ষানিকেতন হাই স্কুলের অনমিত্র মুখোপাধ্যায়, বাঁকুড়া মিশন গার্লস হাই স্কুলের দেবারতি পাঁজা ও বিবেকানন্দ শিক্ষানিকেতন হাই স্কুলের দিশা মণ্ডল, চুঁচুড়ার চন্দননগর কৃষ্ণভাবিনী নারী শিক্ষা মন্দিরের প্রেরণা মণ্ডল, শিমলাপালের মদনমোহন হাই স্কুলের রূপ সিংহবাবু।

মাধ্যমিকে প্রথম সঞ্জীবনীর মার্কশিট। সবিস্তার দেখতে ক্লিক করুন।

নবম হয়েছে মোট ১১ জন। কোচবিহারের সুনীতি অ্যাকাডেমির ঐতিহ্য সাহা, দার্জিলিঙের বাগডোগরা বালিকা বিদ্যালয়ের সায়ন্তিকা রায়, মালদা রামকৃষ্ণ মিশন বিবেকানন্দ বিদ্যামন্দিরের অম্লান ভট্টাচার্য, ওই স্কুলেরই সায়ন্তন চৌধুরী, মালদার মোজাপুর এমএসএসবি হাইস্কুলের মহম্মদ রফিকুল হাসান, বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুর হাইস্কুলের সায়ন নন্দী, হুগলির মগরা উত্তমচন্দ্র হাইস্কুলের সৌত্রিক শূর, হুগলির সিঙ্গুর মহামায়া হাইস্কুলের তন্ময় চক্রবর্তী, বীরভূমের সিউড়ি পাবলিক চন্দ্রগতি হাইস্কুলের সোহম আহমেদ, নদিয়ার কৃষ্ণনগর কলেজিয়েট স্কুলের সৈকত সিংহরায় এবং উত্তর ২৪ পরগনার কাঁচরাপাড়া হার্নেট হাইস্কুলের স্বস্তিক ঘোষ। এদের প্রত্যেকের প্রাপ্ত নম্বর ৬৮১।

বাঁ-দিক থেকে দিশা মণ্ডল (অষ্টম), সৈকত সিংহরায় (নবম), সৌত্রিক শুর (নবম) ও তন্ময় চক্রবর্তী (নবম)। —নিজস্ব চিত্র।

৬৮০ নম্বর পেয়ে দশম স্থানে রয়েছে ১৪ জন। কোচবিহারের মাথাভাঙা হাই স্কুলের বৈদুর্য বিশ্বাস ও সুমনকুমার সাহা, আলিপুরদুয়ারের নিউ টাউন হাই স্কুলের প্রিমরোজ সরকার, মালদহের রামকৃষ্ণ মিশন বিদ্যামন্দিরের মির মহম্মদ ওয়াসিফ, এ সি ইন্সটিটিউশনের অরিত্র সরকার ও বামনগ্রাম এইচ এম এম এ এইচ হাই স্কুলের তামান্না ফিরদৌস, বাঁকুড়ার মিশন গার্লস হাই স্কুলের অন্বেষা বেঘুরিয়া, বড়জোড়া হাই স্কুলের গৌরব মণ্ডল, হুগলির ঘোড়াডাঙা এ সি হাই স্কুলের মোনালিসা সামন্ত, সিউড়ির বি কে টি পি পি প্রবীর সামন্ত বিদ্যালয়ের শুভম রায়, তমলুকের রামকৃষ্ণ মিশন বিদ্যাপীঠের ইন্দ্রজিৎ মিশ্র ও তমলুকের হ্যামিল্টন হাই স্কুলের অগ্নিভ সিংহ এবং পূর্ব মেদিনীপুরের বাঘমারি নারীনিকেতন শিক্ষা সদনের দেবন্য প্রধান এবং কলকাতার টাকি বয়েজ স্কুলের পবিত্র সেনাপতি।

বাঁ-দিক থেকে দেবন্য প্রধান (দশম), শুভম রায় (দশম), সার্থক তালুকদার (সপ্তম) ও রূপ সিংহবাবু (অষ্টম)। —নিজস্ব চিত্র।

এ বার মাধ্যমিকে প্রথম দশে রয়েছে ৫৬ জন।

আগামী বছর মাধ্যমিক শুরু হবে ১২ ফেব্রুয়ারি এবং শেষ হবে ২২ ফেব্রুয়ারি।

পূর্ব মেদিনীপুরে পাশের হার রাজ্যে সর্বোচ্চ, ৯৬.১৩ শতাংশ।

এর পর পশ্চিম মেদিনীপুর, ৯১.১১ শতাংশ।

কলকাতায় সাফল্যের হার ৯১.১১ শতাংশ। সাফল্যের হারে কলকাতার স্থান তৃতীয়।

বাঁ-দিক থেকে শ্রুতি সিংহ মহাপাত্র (ষষ্ঠ), গৌরব মণ্ডল (দশম), রৌনক সাহা (ষষ্ঠ) ও অন্বেষা দেওঘরিয়া (দশম)। —নিজস্ব চিত্র।

দক্ষিণ ২৪ পরগনায় পাশের হার ৯১.০৭ শতাংশ।

উত্তর ২৪ পরগনায় পাশের হার ৯০.৮৬ শতাংশ।

হুগলিতে পাশের হার ৮৮.৯৭ শতাংশ

হাওড়ায় পাশের হার ৮৮.১২ শতাংশ।

নতুন জেলা কালিম্পংয়ে পাশের হার ৮৬.৯৫ শতাংশ।

মাধ্যমিকের ফলপ্রকাশ করছেন পর্যদ সভাপতি। —নিজস্ব চিত্র।

রাজ্যের ৪৭টি ক্যাম্প অফিস থেকে বুধবার সকাল ১০টার পরে স্কুলগুলির হাতে মার্কশিট তুলে দেওয়া হচ্ছে।

এ বার গোটা রাজ্য থেকে মোট ৮ লক্ষ ৯৯ হাজার ৫৬৪ জন পাশ করেছে।

যে যে ওয়েবসাইট থেকে মাধ্যমিকের ফল জানা যাচ্ছে:

www.wbbse.org, wbresults.nic.in। এছাড়া এসএমএস-এর মাধ্যমেও ফল জানা যাবে। এর জন্য মোবাইলে টাইপ করতে হবে WB<space>10, তার পর স্পেস গিয়ে রোল নম্বর দিতে হবে। এসএমএস-টি পাঠাতে হবে ৫৮৮৮৮৭১, ৫৪২৪২,৫৬৭৬৭৫০ এবং ৫৬২৬৩ নম্বরে।

এ বছর পরীক্ষা শুরু হয়েছিল ১২ মার্চ। শেষ হয় ২১ মার্চ। পরীক্ষায় বসেছিল ১১ লক্ষ ২ হাজার ৯২১ জন ছাত্র-ছাত্রী। যার মধ্যে ছাত্রীর সংখ্যা ছিল বেশি। এ বছর ৬ লক্ষ ২১ হাজার ৩৬৬ জন ছাত্রী পরীক্ষায় বসেছিল। যা মোট পরীক্ষার্থীর প্রায় ৫৬ শতাংশ। আর পরীক্ষার্থী ছাত্রের সংখ্যা ৪ লক্ষ ৮১ হাজার ৫৫৫ জন। যা মোট পরীক্ষার্থীর ৪৪ শতাংশ।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE