Advertisement
E-Paper

মেলা ভাঙতেই সাগরতট সাফাই

জেলা প্রশাসনের এক কর্তা জানান, শুধু সাগরতট নয়, মেলা সংলগ্ন পুরো এলাকা পরিষ্কার রাখার জন্য বিশেষ উদ্যোগ চলছে। কয়েক বছর ধরেই সাগরে পরিবেশ উন্নয়নে বিশেষ নজর দিচ্ছে জেলা প্রশাসন।

সুপ্রিয় তরফদার

শেষ আপডেট: ১৬ জানুয়ারি ২০১৮ ০২:৪১
শেষ বেলায়: সোমবার গঙ্গাসাগরে। ছবি: দীপঙ্কর মজুমদার

শেষ বেলায়: সোমবার গঙ্গাসাগরে। ছবি: দীপঙ্কর মজুমদার

মকরসংক্রান্তির স্নানের পরে মাঘপয়লাতেও এক প্রস্ত স্নান। তার পরে ফেরার পথে পুণ্যার্থীরা। সেই সঙ্গে শুরু হয়ে গিয়েছে পরিচ্ছন্ন মেলা-প্রাঙ্গণ পুনরুদ্ধারের কাজ। মেলা শেষ হতে না-হতেই সোমবার সকাল থেকে সাগরতট সাফসুতরো করার কাজে নেমে পড়েছেন পরিচয়পত্র লেখা ব্যাজধারী মহিলা কর্মীরা। এক দিনেই জঞ্জাল থেকে অনেকটা মুক্তি পেয়েছে সাগরতট।

জেলা প্রশাসনের এক কর্তা জানান, শুধু সাগরতট নয়, মেলা সংলগ্ন পুরো এলাকা পরিষ্কার রাখার জন্য বিশেষ উদ্যোগ চলছে। কয়েক বছর ধরেই সাগরে পরিবেশ উন্নয়নে বিশেষ নজর দিচ্ছে জেলা প্রশাসন। মেলা শেষ হওয়ার পক্ষকালের মধ্যেই গোটা এলাকাকে আগের চেহারায় ফিরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা চলছে। এ দিনই মেলায় একটি তেলেভাজার দোকানে আগুন লাগে। আগুন ছড়িয়ে পড়ে পাশের হোগলাপাতার ছাউনিতেও। দুই দমকলকর্মী অসুস্থ হয়ে পড়েন।

পৌষের শেষ দিনে আর মাঘের প্রথম দিনে স্নান সেরে বাড়ি যেতে যেতে ফের আসার সঙ্কল্প শোনা গেল অনেকের মুখে। তাঁরা জানাচ্ছেন, অতীতের মতো গঙ্গাসাগর এখন তো আর মাত্র এক বার নয়। বারবার পুণ্যডুবের পথ পরিষ্কার। পরিকাঠামো অনেকটাই প্রস্তুত। বাকিটা তৈরির কাজ চলছে। সেই ভরসায় আবার আসার ইচ্ছে রাখেন অনেকেই। তাই মুখ ভার করে নয়, আগামী বছরেও যাতে সুস্থ থেকে ফের গঙ্গাসাগরে আসতে পারেন, সেই প্রার্থনা জানিয়ে, সূর্যদেবতাকে প্রণাম করে পুণ্যার্থীরা ফিরে চলেছেন নিজেদের গন্তব্যে।

জেলা প্রশাসন জানাচ্ছে, মুড়িগঙ্গা নদীতে পলি পড়ে ভেসেল বন্ধের সমস্যা থেকে তীর্থযাত্রীদের মুক্তি দিতে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ‘‘আগামী বছর থেকে পলির সমস্যা যথাসম্ভব মেটানোর চেষ্টা হবে,’’ আশ্বাস পঞ্চায়েতমন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের।

এ বার নবান্নে বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের কন্ট্রোল রুমেই সাগরমেলার ছবি দেখছেন, তদারক করেছেন মন্ত্রী-আমলারা। মেলায় নজরদারির জন্য ৫৫০ সিসি ক্যামেরা ছিল। ছিল আটটি ড্রোন। সোমবার নবান্নের দোতলায় আধুনিক কন্ট্রোল রুমে সচিব সুরেশ কুমারকে পাশে বসিয়ে বিপর্যয় মোকাবিলা মন্ত্রী জাভেদ খান জানান, সাগরমেলায় ৭০ লক্ষ টাকা খরচ করে সিসি ক্যামেরা এবং ড্রোন ভাড়া নেওয়া হয়েছিল। বিপর্যয়প্রবণ বিভিন্ন এলাকায় একই ভাবে সব তথ্য ধরে রাখার প্রক্রিয়া চলছে।

Gangasagar Makar Sankranti Nabanna গঙ্গাসাগর নবান্ন
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy