সংশোধিত চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ হয়েছে গত জানুয়ারিতেই। তাতে যত ভোটারের নাম যুক্ত হয়েছে বা বাদ গিয়েছে, সেই তথ্য ফের খতিয়ে দেখার নির্দেশ জেলাগুলিকে দিল রাজ্য সরকার। শনিবার সব জেলা প্রশাসনকে নিয়ে বৈঠক করেন মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ। সূত্রের দাবি, ভোটার তালিকায় ভুয়ো নাম থাকতে পারে বলে সন্দেহপ্রকাশ করে সেই বৈঠকেই এই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে জেলা-কর্তাদের।
প্রসঙ্গত, ভোটার তালিকা সংশোধন পর্বেই ন্যায্য ভোটারের অন্তর্ভুক্তি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জেলাভিত্তিক যে আধিকারিকেরা সেই কাজে যুক্ত থাকেন, তাঁদের চোখ-কান খোলা রাখার নির্দেশও দিয়েছিলেন তিনি। কাজের গাফিলতিতে যে শাস্তির মুখোমুখি হতে হবে, সেই হুঁশিয়ারিও শোনা গিয়েছিল তাঁর গলায়। প্রশাসনিক সূত্রের বক্তব্য, নদিয়া, দক্ষিণ ২৪ পরগনায় এমন অনেক ভুয়ো ভোটারের তথ্য পাওয়া যাচ্ছে। সংশোধন পর্বের জেলাভিত্তিক সেই তালিকা খতিয়ে দেখবে সংশ্লিষ্ট প্রশাসন। তার রিপোর্ট জমা পড়ার পরে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নিতে পারে নবান্ন। কারণ, বিষয়টি পুরোপুরি নির্বাচন কমিশনের হাতে থাকে। তবে এখন সারা বছরই জেলা প্রশাসনের তত্ত্বাবধানে ভোটার তালিকায় নাম তোলার কাজ হয়। ফলে ২০২৬ সালে বিধানসভা ভোটের আগে আগে এখন থেকেই সে কাজে বাড়তি নজর রাখতে হবে জেলা-কর্তাদের।
সূত্রের দাবি, এ দিন আবাস প্রকল্পের অগ্রগতিও খতিয়ে দেখেন মুখ্যসচিব। যে সব জেলায় এখনও টাকা ছাড়া বাকি রয়েছে, সেগুলিতে দ্রুত পদক্ষেপের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বালি পাচারের প্রশ্নেও সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে জেলা-কর্তাদের। নতুন বালি খাদান খুললে, সেটিকে নথিবদ্ধ করতে হবে। পঞ্চদশ অর্থ কমিশনের কাজও এ দিন খতিয়ে দেখা হয়েছে। দুই ২৪ পরগনা-সহ কয়েকটি জেলার খরচে নবান্ন যে সন্তুষ্ট নয়, তা স্পষ্ট করা হয়েছে। জেলা পরিষদে কেন টাকা আটকে, জানতে চাওয়া হয়েছে তা-ও। গত অগস্ট মাসের পরে জল জীবন মিশনে কেন্দ্রের বরাদ্দ এখনও পায়নি রাজ্য। এ দিন সেই বিষয়টিও উল্লেখ করেছেন মুখ্যসচিব।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)