পঞ্চায়েত ভোট আসছে। তার আগে শাসক দলের সামনে সরকারি ‘গ্রুপ ডি’ পদে কর্মী নিয়োগের জন্য দরজা খুলে দিল নবান্ন।
তৃণমূলের সব মন্ত্রী-বিধায়ককে জানানো হয়েছে, গ্রুপ-ডি পদে নিয়োগের জন্য সরকার পক্ষের মুখ্য সচেতক নির্মল ঘোষের কাছে তাঁদের বিধানসভা এলাকার পাঁচ জনের নাম দ্রুত জমা দিতে হবে। অষ্টম শ্রেণি পাশ পুরুষ বা মহিলার নাম সুপারিশ করা যাবে। বয়স হতে হবে আঠারো থেকে চল্লিশের মধ্যে! সূত্রের খবর, ‘গোপনে’ নাম নেওয়া শুরুও হয়েছে।
সরকারি গ্রুপ ডি পদে নিয়োগের জন্য সম্প্রতি পরীক্ষা হয়েছে। ২০ লক্ষ প্রার্থী ওই পরীক্ষায় বসেছেন। প্রশ্ন হল, যাঁরা ওই পরীক্ষায় বসেছেন, তাঁদের মধ্যে থেকেই কি পাঁচ জনের নাম সুপারিশ করতে বলা হয়েছে? জবাবে অন্তত এক ডজন বিধায়ক ও মন্ত্রী জানিয়েছেন, পরীক্ষায় বসেছেন, এমন প্রার্থীর নাম দেওয়া বাধ্যতামূলক নয়। বিধায়ক পিছু পাঁচ জনের চাকরি হবে ‘ডাইরেক্ট’! তবে ওই চাকরি স্থায়ী না ঠিকা, তা নিয়ে শাসক দলের মধ্যেও ধোঁয়াশা রয়েছে!
আরও পড়ুন: তদন্তে দোষী অ্যাপোলোই
কিন্তু কোনও রকম পরীক্ষা বা সরকারি বিজ্ঞপ্তি ছাড়া এ ভাবে কি নিয়োগ করা যায়? তা ছাড়া এক জন বা দু’জন নয়, ২১১ জন তৃণমূল বিধায়কের হাত ধরে হিসাবমতো ১০৫৫ জন চাকরির সুযোগ পাওয়ার কথা। প্রবীণ আমলাদের মতে, এটা করা যায় না। ফিনান্স রুল অনুযায়ী, ন্যূনতম মজুরি দিয়েও যদি শ্রমিক নিয়োগ করতে হয় সে ক্ষেত্রেও সরকারকে বিজ্ঞপ্তি দিতে হয়।
‘দলের লোকদের’ চাকরি দেওয়ার অভিযোগ অবশ্য এই সরকারের বিরুদ্ধে প্রথম নয়। তৃণমূল সরকারের প্রথম জমানায় প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগের জন্যও বিধায়কদের থেকে একই ভাবে নামের সুপারিশ নেওয়া হয়েছিল। পরে যা নিয়ে বিতর্ক হয়। তবে বিরোধী দলনেতা আব্দুল মান্নানের বক্তব্য, ‘‘টেটের মতো এটাও বড় কেলেঙ্কারি হবে। এ জন্য মোটা টাকাও নেওয়া হচ্ছে।’’ আর সিপিএম সাংসদ ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়ের অভিযোগ, ‘‘মগের মুলুকে যা হওয়ার তাই হচ্ছে! এ রাজ্যে তো টেটের জন্য যারা ঘুষ নিল, তারা নবান্ন আলো করে বসে রয়েছেন। যারা প্রতিবাদ করছেন, তাঁদের জেলে পাঠানো হচ্ছে!’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy