অভিযোগ শুনছে রাজ্য জন পরিষেবা অধিকার কমিশন। —নিজস্ব চিত্র।
নবগঠিত রাজ্য জন পরিষেবা অধিকার কমিশন বিভিন্ন সরকারি দফতরে সরেজমিন সমীক্ষা শুরু করল। সম্প্রতি উত্তর ২৪ পরগনার আমডাঙা বিডিও দফতর ও বারাসত পুরসভায় উপস্থিত হন কমিশনের দুই সদস্য অরূপ রায়চৌধুরী এবং অভিনেতা রুদ্রনীল ঘোষ। আমডাঙার সাধারণ ও পঞ্চায়েত প্রশাসন সাধারণ মানুষের অভাব-অভিযোগের বিষয়গুলি নথিবদ্ধ করা এবং সেই অনুযায়ী পদক্ষেপ করছে বলে মনে করেন কমিশনের সদস্যেরা।
কিন্তু বারাসত পুরসভা এ বিষয়ে নজর দেয় না বলে ধারণা হয় কমিশনের। জন পরিষেবা আইনে সাধারণ মানুষের অধিকারগুলি নিশ্চিত করার কোনও উদ্যোগ দেখা যায়নি বলে কমিশন জানিয়ে দেয় পুরসভার কার্যনির্বাহী অফিসার সুভাষ ঘোষকে। পরে কমিশনার রুদ্রবাবু জানান, জন পরিষেবা আইনের কার্যধারা বোঝানোর জন্য প্রতি জেলার নির্দিষ্ট অফিসারের কাছে কমিশন গিয়ে দেখতে চায়, মানুষের অভিযোগের কী কী সুরাহা হয়েছে এবং কী-ই বা করা হচ্ছে। এ ভাবে প্রতি জেলায় এবং অধিকাংশ পঞ্চায়েত সমিতির কাছে গিয়ে সাধারণ মানুষের অভাব-অভিযোগের কথা শুনবে কমিশন, এমনটাই সিদ্ধান্ত হয়েছে।
এ ছাড়া, সাধারণ মানুষ যাতে তাঁদের অভাব-অভিযোগ নির্দিষ্ট ফর্মে লিখে জমা দিতে পারেন, সেই ব্যবস্থাও হয়েছে বলে রুদ্রবাবু জানান। সেই মতো কুড়িটি দফতরের নোডাল অফিসারের কাছে ছাপানো ফর্ম পাঠানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে। এই দফতরগুলোর সঙ্গে প্রতি দিন সরাসরি সাধারণ মানুষের কাজকর্মের যোগাযোগ ঘটে। এ সব ফর্মে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে পাওয়া অভাব-অভিযোগের একটি কপি বাধ্যতামূলক ভাবে কমিশনের কাছে পাঠাবার নির্দেশও প্রতিটি দফতর এবং জেলায় গিয়েছে।
আরও পড়ুন: জামিনদারও মিলছে না ফতুর সারদা কর্তার
যে দফতরগুলিতে ফর্ম গিয়েছে, সেগুলি হল পঞ্চায়েত, পুরসভা, খাদ্য, সেচ, কৃষি, বন, পশুপালন, বিদ্যুৎ, ক্রীড়া ইত্যাদি।
গত বছর ১৮ সেপ্টেম্বর আইনমাফিক কমিশন গঠন করা হয়। তার পর ৬ অক্টোবর পশ্চিমবঙ্গ জনপরিষেবা অধিকার কমিশন কাজ শুরু করে। ফ্রি স্কুল স্ট্রিটে খাদ্য ভবন কমপ্লেক্সে ক্রেতা সুরক্ষা দফতরের বাড়ির ছ’তলায় কমিশনের সদর দফতর। মুখ্যমন্ত্রী কমিশনকে বিশেষ ভাবে নজর দিতে বলেছেন পঞ্চায়েত দফতর ও কলকাতা পুরসভার ব্যাপারে। তৃণমূল সূত্রে বলা হচ্ছে, সড়ক, বিদ্যুৎ, সেচ, খাদ্য, স্বাস্থ্য ইত্যাদি বিষয়ে গত পাঁচ বছর তাঁর সরকারের কাজের সুফল রাজ্যের মানুষ বিপুল ভাবে মমতাকে ফিরিয়ে দিয়েছে। কিন্তু এর পর কী? সে কারণে দ্বিতীয় বার ক্ষমতায় এসে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মূলত জোর দিতে চান সরকারি ও দলীয় কর্মশৃঙ্খলার উপর। যাতে উন্নয়নের ধারবাহিকতা যেমন বজায় থাকে, তেমনই সাধারণ মানুষের অভাব-অভিযোগেরও সুরাহা হয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy