Advertisement
২৫ এপ্রিল ২০২৪
West Bengal Lockdown

১৭ মে-র পর কোভিড নিয়ন্ত্রণে রাজ্যকে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা দাবি মমতার

মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন,‘‘দোকান খুলে দিলে তো রাস্তায় লোক নামবেই। তাদের আমি কী ভাবে আটকাব?”

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ফাইল চিত্র।

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ফাইল চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ১১ মে ২০২০ ২০:৪৭
Share: Save:

তৃতীয় পর্যায়ের লকডাউন পরবর্তী সময়ে, কোভিড পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা রাজ্যেগুলির হাতে তুলে দেওয়ার দাবি জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সূত্রের খবর, এ দিন প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীদের বৈঠকে তিনি এই দাবি তোলেন। সূত্রের খবর, তিনি প্রধানমন্ত্রীকে অনুরোধ করেন, ১৭ মে পরবর্তী সময়ে, পরিস্থিতি অনুযায়ী কোন কোন বিষয়ে ছাড় দেওয়া প্রয়োজন এবং কোথায় কী ভাবে নিয়ন্ত্রণ রাখতে হবে তা রাজ্যকে সিদ্ধান্ত নিতে দিলে তা অনেক সুবিধাজনক হবে।

সূত্রের খবর, এ দিন মুখ্যমন্ত্রী কোভিড নিয়ন্ত্রণে লকডাউনের মেয়াদ বাড়ানো অর্থহীন বলে অভিমত প্রকাশ করেন। তিনি প্রশ্ন তোলেন, একদিকে যখন বিমান থেকে ট্রেন পরিষেবা চালু করা হচ্ছে এবং আন্তর্জাতিক সীমান্ত খুলে দেওয়া হয়েছে, সেখানে লকডাউনের মেয়াদ বাড়িয়ে কী লাভ?

সূত্রের খবর, তিনি এ দিন রাজ্যের অবস্থানগত সমস্যা তুলে ধরে জানিয়েছেন, কেন্দ্র একের পর এক বিধিনিষেধ প্রত্যাহার করে বিভিন্ন পরিষেবা চালু করে দিচ্ছে। তার পর রাজ্যগুলির উপর দায় বর্তাচ্ছে সঙ্কটের মোকাবিলা করার। সূত্রেরখবর, তিনি এ দিন প্রধানমন্ত্রীকে জানিয়েছেন, কেন্দ্র একদিকে একের পর এক ছাড় ঘোষণা করছে, অন্যদিকে লকডাউনে গুরুত্ব দিচ্ছে। এ রকম অবস্থায় রাজ্যের পক্ষে সংক্রমণ রোখা বা পরিস্থিতির মোকাবিলা করা কঠিন।

আরও পড়ুন: ১৮ মে থেকে আরও কিছু ছাড়, আর এক দফা লকডাউনের ইঙ্গিত মোদীর

এর আগেও, নবান্নেই কেন্দ্রীয় নীতি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। কেন্দ্র মার্কেট কমপ্লেক্স ছাড়া বিভিন্ন ধরনের দোকানপাট খোলার অনুমতি দেওয়ার পরই মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন,‘‘দোকান খুলে দিলে তো রাস্তায় লোক নামবেই। তাদের আমি কী ভাবে আটকাব?” কেন্দ্রের নির্দেশ পর্যালোচনা করে কয়েক দিন পরে রাজ্য আলাদা নির্দেশিকা জারি করে কোন কোন ক্ষেত্রে ছাড় দেওয়া হবে তা নিয়ে। সেই বক্তব্যই ফের এ দিন প্রতিফলিত হয় তাঁর বক্তব্যে।

আরও পড়ুন: রাজ্য ‘ক্রীতদাস’ নয়! প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে কেন্দ্রকে মুখ্যমন্ত্রী

সূত্রের খবর, এ দিন তিনি সীমান্ত বাণিজ্য প্রসঙ্গে জানান যে এ রাজ্যের সঙ্গে ভুটান এবং বাংলাদেশের যে সীমান্ত রয়েছে সেখানে পণ্য পরিবহণের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশের ক্ষেত্রে তিনি ট্রেনে পণ্য পরিবহণের পরামর্শ দেন। ক’দিন আগেই, সীমাম্তে পণ্য পরিবহণের অনুমতি রাজ্য দেয়নি কেন তা নিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রসচিব চিঠি দিয়েছিলেন রাজ্যকে।

(অভূতপূর্ব পরিস্থিতি। স্বভাবতই আপনি নানা ঘটনার সাক্ষী। শেয়ার করুন আমাদের সঙ্গে। ঘটনার বিবরণ, ছবি, ভিডিয়ো আমাদের ইমেলে পাঠিয়ে দিন, feedback@abpdigital.in ঠিকানায়। কোন এলাকা, কোন দিন, কোন সময়ের ঘটনা, তা জানাতে ভুলবেন না। আপনার নাম এবং ফোন নম্বর অবশ্যই দেবেন। আপনার পাঠানো খবরটি প্রকাশযোগ্য বলে বিবেচিত হলে তা প্রকাশ করা হবে আমাদের ওয়েবসাইটে।)

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Mamata Banerjee Coronavirus CM Narendra Modi
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE