Advertisement
E-Paper

মহিলাদের দায়িত্ব দিন, ডাক মমতার

মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, ‘‘আমি নিয়মিত পাহাড়ে আসি। এর মধ্যে আট মাস আসতে পারিনি।’’ তার পরেই গত বছরের গোলমালের উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘‘যা হয়েছে তা ভুলে যেতে চাই। তাতে যদি আমাদের দিক থেকেও কোনও ভুল থাকে, তা শুধরে নিতে হবে।’’

দেবাশিস চৌধুরী

শেষ আপডেট: ৩০ মে ২০১৮ ০৩:১৮
প্রণাম: মঞ্চে, মুখ্যমন্ত্রীর কাছে। কালিম্পঙে। নিজস্ব চিত্র

প্রণাম: মঞ্চে, মুখ্যমন্ত্রীর কাছে। কালিম্পঙে। নিজস্ব চিত্র

পাহাড়ে কর্মসংস্থানের উপরে জোর দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। মঙ্গলবার গ্রাহামস গ্রাউন্ডের মঞ্চ থেকে তিনি উন্নয়ন বোর্ডগুলিকে বলেন, ‘‘দরকার হলে দোকান খুলে দিন। বাজার চালু করুন। আর সেখানে মহিলাদের দায়িত্ব দিন বেশি করে। কারণ, মহিলারা ঘরের সঙ্গে সঙ্গে বাইরের কাজও দারুণ সামলান।’’

বস্তুত, এ দিন আগাগোড়াই মেয়েদের উন্নয়নে সামিল করার কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী। বলেন, ‘‘আমাদের মেয়েরা খুবই স্মার্ট। ছেলেমেয়ে সকলেই।’’ তার কিছু ক্ষণ পরেই মেয়েদের আরও বেশি করে উন্নয়নের কাজে নিয়ে আসার কথা বলেন।

শুধু দোকান খোলাই নয়, মুখ্যমন্ত্রী জোর দেন উদ্যানবিদ্যা, চাষের উপরেও। তাঁর কথায়, পাহাড়ে বাহারি অর্কিড জন্মায়। ক্যাকটাসের চাষ হয়। সঙ্গে রয়েছে খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ। এগুলিকে যোগ করলে উন্নয়নের কাজ ত্বরান্বিত হবে। যে আর্থিক সাহায্য এ দিন বোর্ডগুলিকে করা হয়েছে, সেগুলির মাধ্যমেই এই সব ক্ষেত্রে কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরির উপরে জোর দেন তিনি।

মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, ‘‘আমি নিয়মিত পাহাড়ে আসি। এর মধ্যে আট মাস আসতে পারিনি।’’ তার পরেই গত বছরের গোলমালের উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘‘যা হয়েছে তা ভুলে যেতে চাই। তাতে যদি আমাদের দিক থেকেও কোনও ভুল থাকে, তা শুধরে নিতে হবে।’’

এই সূত্রেই এসে পড়ে বিমল গুরুংয়ের প্রসঙ্গ। তবে কোনও সময় গুরুংয়ের নাম সরাসরি উল্লেখ করেননি তিনি। মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, কোনও কোনও নেতা পাহাড়ে মাসের পর মাস বন্‌ধ চালিয়ে গিয়েছেন। তাতে আখেরে অর্থনীতির ক্ষতি হয়েছে। মানুষ কষ্টে থেকেছে। তিনি বলেন, ‘‘মানুষ দেখতে চাইছে, কাঞ্চনজঙ্ঘা আবার হাসছে।’’ জানিয়ে দেন, পাহাড় ভাল না থাকলে রাজ্য ভাল থাকতে পারে না।

এ দিন পনেরোটি বোর্ড মিলিয়ে পাঁচ-সাত হাজার মানুষ হাজির ছিলেন সভায়। মুখ্যমন্ত্রী আসার আগে বেশ কয়েক ঘণ্টা ধরে চলে তাঁদের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। মুখ্যমন্ত্রী এলে তাঁকে স্বাগত জানানো হয় তাঁরই লেখা একটি গানের মাধ্যমে। সেটি কয়েক লাইন বাংলায় গাওয়ার পরে তা নেপালিতে তর্জমা করে গাইলেন গায়িকারা। মঞ্চে মুখ্যমন্ত্রী মুখে তখন হাল্কা হাসি।

এই সবের মধ্যে বিভিন্ন বোর্ডের লোকজন এটাও জানালেন যে, শান্তি না থাকলে উন্নয়ন হবে না। রাই বোর্ডের প্রধান তো স্পষ্ট করেই বলেন, ‘‘পাহাড়ে শান্তি এসেছে। এ বারে উন্নয়ন চাই।’’ মুখ্যমন্ত্রীও ইঙ্গিত দিলেন বুধবারের প্রশাসনিক বৈঠকে একশো দিনের কাজের মতো যে সব বিষয় কর্মসংস্থান ও উন্নয়নের সঙ্গে যুক্ত, সেগুলি তুলবেন তিনি। জোর দেবেন বেকার সমস্যার উপরে। কথা বলবেন পর্যটন ও শিল্প সম্ভাবনার বিভিন্ন দিক নিয়েও।

দিনের শেষে তাই কাজের কথাই তাঁর কাছে শেষ কথা। বক্তৃতা শেষও করলেন এই নিয়ে দু’পংক্তি বলে।

Women Empowerment Employment Chief Minister
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy