—ফাইল চিত্র।
কাঠুয়ায় নাবালিকাকে খুন ও ধর্ষণের ঘটনার প্রতিবাদে দিনভর রেল ও শহরের সড়কপথে অবরোধ চলল। একই কারণে নিউ মার্কেটে হকারেরা দোকানপাট বন্ধ রাখেন।
শুক্রবার শহরে প্রায় আড়াই ঘণ্টা অবরোধ চলে পার্ক সার্কাস মোড়ে। অবরোধ হয়েছে রাজাবাজার, ইন্দ্র বিশ্বাস রোড, গার্ডেনরিচের রামনগর মোড়, নোনাপুকুর ট্রাম ডিপো এলাকাতেও। যান চলাচল স্বাভাবিক হতে সন্ধ্যা গড়িয়ে যায়। কলকাতা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত যুগ্ম কমিশনার (সদর) সুপ্রতিম সরকার অবশ্য বলেন, ‘‘শহরে পার্ক সার্কাস মোড়ে ঘণ্টা দুয়েক এবং রাজাবাজার মোড়ে কয়েক মিনিট অবরোধ হয়েছে।’’
একে তীব্র গরম। তার উপরে অবরোধের জেরে নিত্যযাত্রীরা নাকাল হন। স্কুলফেরত খুদে ছাত্রছাত্রীরা যানজটে আটকে থাকে দীর্ঘ ক্ষণ। দূরপাল্লার ট্রেন ধরার জন্য হেঁটে শিয়ালদহ ও হাওড়া পৌঁছতে হয় অনেক যাত্রীকে।
প্রথমে সকালে ও পরে দুপুর আড়াইটে থেকে দু’দফায় টানা রেল অবরোধ চলে দক্ষিণ পূর্ব রেলের হাওড়া-খড়্গপুর শাখাতেও। সকালে হাওড়ার চেঙ্গাইল এবং দুপুরে উলুবেড়িয়ায় টানা অবরোধে বিপর্যস্ত হয়ে যায় ট্রেন চলাচল। সকালে চার ঘণ্টারও বেশি সময় অবরোধ চলে। সব থেকে অসুবিধায় পড়েন দূরপাল্লার ট্রেনে যাত্রীরা। মুম্বই, বা চেন্নাইয়ে চিকিৎসা করে ফেরার পথে কয়েক জন যাত্রীর চূড়ান্ত ভোগান্তি হয়। মুম্বই-হাওড়া মেল, হাওড়া-সেকন্দরাবাদ ফলকনামা এক্সপ্রেস, আপ হাওড়া–চেন্নাই করমণ্ডল এক্সপ্রেস এবং ডাউন যশোবন্তপুর-হাওড়া দুরন্ত এক্সপ্রেসের মতো ট্রেনও অবরোধে আটকে পড়ে। পাঁচটি এক্সপ্রেস ট্রেনের সময়সূচি পরিবর্তন করতে হয়। বাতিল করা হয় ২৮ জোড়া ইএমইউ বা লোকাল ট্রেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy