বজ্রগর্ভ মেঘপুঞ্জের খেয়ালিপনায় বৃষ্টি-বৈষম্য সমানে চলেছে। বৈষম্যের শিকার মূলত কলকাতা। আর ঝড়ে কমবেশি ক্ষয়ক্ষতি হলেও বৃষ্টির দাক্ষিণ্য অটুট আছে জেলায়। একই ছবি দেখা গেল শুক্রবার। ঝড় আর বৃষ্টি দু’টোই পেল জেলা। কলকাতায় শুধু ঝোড়ো হাওয়া। ছিটেফোঁটা বৃষ্টি।
বেশ কয়েক দিন পরে এ দিন দুপুরে চড়া রোদ উঠেছিল। আর্দ্রতা তুলনায় কম থাকায় বেড়েছিল তাপমাত্রাও। হাওয়া অফিস দুপুরেই জানিয়েছিল, বিকেলের দিকে ধেয়ে আসতে পারে কালবৈশাখী। বিকেলে হাওয়া অফিসের রেডারে উত্তর ২৪ পরগনার উপরে মেঘপুঞ্জ ধরা পড়ে। সন্ধ্যার মুখেই আছড়ে পড়ে কালবৈশাখী। উত্তর ২৪ পরগনা, হাওড়া ও হুগলির গ্রামীণ এলাকায় ঝড়বৃষ্টি হয়। কলকাতায় ঝোড়ো হাওয়া বইলেও বৃষ্টি তেমন হয়নি। তবে দমকা হাওয়ায় রাতে মহানগরীর তাপমাত্রা অনেকটাই কমে যায়। ঝড়ে কলকাতা বিমানবন্দরে একটি বিমানের গতিপথ বদলাতে হয়।
এ বার কালবৈশাখীর সঙ্গে সঙ্গে বজ্রপাত হচ্ছে খুব বেশি। বিশেষ করে খোলা জায়গায় বাজ পড়ছে ঘনঘন। এ দিনও তার ব্যতিক্রম হয়নি। বজ্রপাতে উত্তর ২৪ পরগনার দেগঙ্গা থানার নুরনগরে এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। তাঁর নাম মনোরঞ্জন ঘোষ (৪৫)। জেলা প্রশাসন সূত্রের খবর, বৃষ্টিতে ধান নষ্ট হয়ে যেতে পারে ভেবে বিকেলে মাঠে গিয়েছিলেন মনোরঞ্জনবাবু। সেই সময়েই বাজ পড়ে। মৃত্যু হয় মনোরঞ্জনবাবুর। গত সপ্তাহেই দেগঙ্গায় বজ্রপাতে দু’জনের মৃত্যু হয়েছে। নবান্নের খবর, চলতি মরসুমে রাজ্যে বজ্রপাতে মারা গিয়েছেন অন্তত ২০ জন।
আজ, শনিবারেও রাজ্যে ঝড়বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া দফতর। তবে কলকাতার তৃষ্ণা মিটবে কি না, আবহাওয়া দফতর এখনই সেই ব্যাপারে কোনও আশ্বাস দিতে পারছে না। আবহবিদেরা জানান, মেঘপুঞ্জ ঠিক কোথায় তৈরি হচ্ছে, সেটা পরিষ্কার হলেই বোঝা যাবে, কলকাতায় বৃষ্টি হবে কি না।