আগে প্রশাসনিক বৈঠকে আমলাদের জন্য মাছের সঙ্গে মাংসের পদ থাকতই। ভাগাড়-কাণ্ডের প্রেক্ষিতে মঙ্গলবার নবান্নে প্রশাসনিক বৈঠকে দুপুরের ভোজে বাদ পড়ল মাংস। তার বদলে ছিল মাছের নানান পদ।
প্রশাসনিক বৈঠকের আগেই নবান্ন সভাগৃহে আমলাদের মধ্যাহ্নভোজনের ব্যবস্থা করা হয়েছিল। পুলিশকর্মী এবং অন্যদের জন্যও ছিল খাবারের প্যাকেট। আমলাদের জন্য তিন রকম মাছের পদ রেখেছিল কেটারিং সংস্থা। সাদা পোলাওয়ের সঙ্গে ভেটকি মাছের পাতুরি, পমফ্রেট ছাড়াও ছিল চিংড়ির মালাইকারি। পুলিশকর্মী এবং অন্যদের খাবারের প্যাকেটে ছিল কাঁচকলার কোপ্তা, ফিশফ্রাই (ভেটকি), কাতলা মাছের কালিয়া।
ভাগাড়-কাণ্ডের জেরে সরকারি অফিসের ক্যান্টিনে মুরগির মাংস প্রায় হচ্ছেই না। হলেও খুব কম। সরকারি কর্মীরা এখন বাইরে মুরগির মাংস খেতে চাইছেন না। নবান্নের একটি ক্যান্টিনে আপাতত মাংসের পদ বন্ধ রাখা হয়েছে। মহাকরণে দু’-একটি দফতরের কর্মীরা ছাড়াও বহু পুলিশকর্মী ডিউটি করেন। তাই সেখানেও কয়েকটি ক্যান্টিন চলে।
আরও পড়ুন: ১৪ মে ভোট ঘিরে অনিশ্চয়তা, সুপ্রিম কোর্টে যেতে পারে কমিশন-রাজ্য সরকার
মহাকরণের একটি ক্যান্টিনের মালিক জানান, তাঁরা এখন রোজ দেড়-দুই কিলোগ্রামের বেশি মুরগির মাংস রান্না করছেন না। কারণ কেউ খেতে চাইছেন না। বিদ্যুৎ ভবনের ক্যান্টিনেও একই অবস্থা। ওই ক্যান্টিনে সপ্তাহে এক দিন মুরগির মাংস হয়। কর্মীরা জানান, ক্যান্টিনের মাংস এখন অনেকেই খাচ্ছেন না। জলসম্পদ ভবনের ক্যান্টিনে মাংস রান্না বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। কলকাতা পুরসভার অধিবেশনের মাসিক অধিবেশনের ভোজেও মাংস বাতিল। থাকবে মাছেরই নানা পদ। পুরকর্মীদের ক্যান্টিনেও মুরগি বাদ।