রাজাবাজারের পর এ বার মানিকতলায় মিলল পচা মাংস রাখার হিমঘর। নিজস্ব চিত্র।
ভাগাড়-কাণ্ডে মূলচক্রী বিশ্বনাথ ঘড়ুইকে নিয়ে আরও একটি হিমঘরে হানা দিল সিআইডি। নারকেলডাঙার পর এ বার মানিকতলা। দু’টি হিমঘরেরই মালিক আশিস ঝুনঝুনওয়ালা। গোয়েন্দারা হন্যে হয়ে খুঁজছেন আশিসকে। ভাগাড়-কাণ্ড সামনে আসার পর থেকেই নিখোঁজ তিনি।
মানিকতলার হিমঘরে ফলের ব্যবসার আড়ালে চলত মাংসের কারবারও। সেখান থেকে সিআইডি-র অফিসাররা ৬ টন ওজনের মাংস বাজেয়াপ্ত করে ফরেন্সিক পরীক্ষার জন্য পাঠিয়েছেন।
শুক্রবার সকাল সাড়ে ৮টা নাগাদ বিশ্বনাথ ওরফে বিশুকে নিয়ে মানিকতলার ক্যানাল ইস্ট রোডের হিমঘরে পৌঁছয় সিআইডি। বিশুকে জেরা করে গোয়েন্দারা জানতে পারেন, মানিকতলার ওই হিমঘরে ফল ও ফুল মজুত করার আড়ালে ভাগাড়ের মাংসের কারবার চলছে। স্থানীয় বাসিন্দারা যাতে টের না পান, তার জন্য হিমঘরের সামনের দিকে রাখা থাকত ফলের কার্টন। পিছনে রাখা থাকত পচা মাংস। কয়েক জনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করছেন গোয়েন্দারা। বাজেয়াপ্ত হয়েছে একটি হার্ড ডিস্ক।
আরও পড়ুন:
রেস্তরাঁর মাংসে ছাতা, ফ্রিজারের মুরগি পচা
কাটা মাংস দেখলেই কেটে পড়ছেন ক্রেতা
দেখুন ভিডিও:
সিআইডি সূত্রে খবর, আরও কয়েকটি গুদামের হদিশ মিলেছে। এর আগে নারকেলডাঙায় অভিযান চালিয়ে পুলিশ ভাগাড়ের মাংসের হদিশ পায়। বিহার থেকে গ্রেফতার হয় সানি মল্লিক। ধরা পড়ে সানির দুই সঙ্গী শারাফত হুসেন এবং সিকান্দরও। তাদের জেরা করে নাম উঠে আসে বিশ্বনাথ ঘড়ুইয়ের। বজবজ থানার পুলিশ সোনারপুর থেকে তাকে গ্রেফতার করে। জানা গিয়েছে, এই চক্রের আরও অনেকে বিহারে লুকিয়ে রয়েছে। তাদের খোঁজ করছে সিআইডি। প্রয়োজনে বিহারেও যেতে পারেন গোয়েন্দারা। সানি এবং শারাফত পেশায় কষাই। দশ বছর ধরে তারা মরা পশুর মাংসের কারবার করছে। রাজ্যের বিভিন্ন ভাগাড়ে তারা ইনফর্মার নিয়োগ করত। কমিশনও দিত মোটা। ভাগাড়ে মরা পশু পড়লেই খবর পৌঁছে যেত সানি বা শারাফতের কাছে।
এও জানা গিয়েছে, ভাগাড়ের মরা পশু তারা ৭০-১০০ টাকা কেজি দরে কিনত। হিমঘরে রাসায়নিক দিয়ে সংরক্ষণের পর দাম দাঁড়াত কেজি-পিছু ২৫০ টাকা। কলকাতা এবং সংলগ্ন এলাকার রেস্তরাঁ, হোটেলের মালিকরা এই দামেই কিনতেন মাংস। সিআইডি সেই সব হোটেলের মালিকদের তালিকা তৈরি করছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy