সাত বছর পূর্তিতে রাজ্যের ‘মা-মাটি-মানুষ’কে ধন্যবাদ জানিয়ে সাফল্যের বিবরণ দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
সাত বছর পূর্ণ করল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। গত ছয় দশকের তুলনায় এই সাত বছরে কাজের জন্য তাঁদের সরকারের দশে দশ পাওয়া উচিত বলে মন্তব্য করেছেন রাজ্যের বর্ষীয়ান মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তিনি রবিবার বলেন, ‘‘কেন্দ্রীয় সরকার পরিকল্পনা খাতে টাকা বন্ধ করে দিলেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে রাজ্য সরকার অসাধারণ কাজ করেছে। গ্রামীণ অর্থনৈতিক অবস্থার উন্নতি হয়েছে।’’ এর নিরিখেই পার্থবাবু নিজেদের সরকারকে দশে দশ দিচ্ছেন।
পক্ষান্তরে, নরেন্দ্র মোদী সরকারের চার বছর পূর্তিতে পার্থবাবুর মূল্যায়ন, ‘‘প্রধানমন্ত্রী প্রায় সাড়ে চার হাজার কোটি টাকা খরচ করেছেন নিজের ভাবমূর্তি তৈরি করতে। অথচ প্রবীণদের অবসরকালীন অর্থে, প্রভিডেন্ট ফান্ডে সুদ কমেছে। পেট্রোপণ্যের দাম বেড়েছে। সব মিলিয়ে কেন্দ্র দশে তিনও পাবে না!’’
স্বয়ং মমতাও তাঁর সরকারের সাত বছর পূর্তিতে রাজ্যের ‘মা-মাটি-মানুষ’কে ধন্যবাদ জানিয়ে সাফল্যের বিবরণ দিয়েছেন। তৃণমূল নেতৃত্ব মনে করেন, তাঁদের আমলে রাজ্যে চোখে পড়ার মতো উন্নয়ন হয়েছে বলেই একের পর এক নির্বাচনে তাঁরা সুফল পাচ্ছেন। যার সাম্প্রতিকতম উদাহরণ পঞ্চায়েত ভোটে ‘সাফল্য’।
বিরোধীরা অবশ্যই সরকারের সঙ্গে ভিন্নমত। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীর মতে, ‘‘গত সাত বছরে বাংলা রসাতলে গিয়েছে! মুখ্যমন্ত্রী শুধু দান এবং অনুদানের উপরে সরকার চালাচ্ছেন।’’ রাজ্যে বিনিয়োগের তথ্য এবং বাস্তবে কর্মসংস্থান নিয়ে শ্বেতপত্র প্রকাশের দাবিও জানিয়েছেন অধীর। সিপিএমের পলিটব্যুরো সদস্য মহম্মদ সেলিমের বক্তব্য, ‘‘মোদী সরকারের চার বছরের মতো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারও সাত বছরে সাফল্যের ঢাক পেটাতে নেমেছে। তৃণমূল ভোটের ইস্তাহারে লিখেছিল, ৪০ লক্ষ বেকারের কর্মসংস্থান করতে হবে। এখন সরকার বলছে, ৯০ লক্ষ লোকের কর্মসংস্থান হয়েছে। ধরে নিতে হবে, এক এক জন লোক একাধিক চাকরি করছেন!’’ আর বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের মন্তব্য, ‘‘কেন্দ্রীয় সরকারের কৃতিত্ব সকলেই দেখতে পাচ্ছেন। কিন্তু রাজ্যে দুর্নীতি, হিংসা এবং গণতন্ত্র হত্যার সাত বছর হল!’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy