পঞ্চায়েত ভোটে আধাসেনা নেবে না সরকার। তাই ভোট হবে রাজ্য পুলিশ দিয়েই। কিন্তু যে ভাবে ভোটের দফাওয়ারি জেলা-বিন্যাস ও দিন ক্ষণ ঠিক হয়েছে, তাতে ফাঁপরে পড়েছে পুলিশ।
কারণ ভোটের দিনে প্রতি বুথে দু’এক জন খাকি উর্দিধারী দাঁড় করাতে হলেও যত পুলিশ লাগবে, তা জোগা়ড় করতে হিমশিম খাচ্ছে নবান্ন। আপাতত ঠিক হয়েছে, সশস্ত্র বাহিনী ছাড়াও থানায় থানায় যে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে তার ৯০% ভোটের জন্য তুলে নিতে হবে। তাদেরই পাঠানো হবে ভোটের জেলায়। ফলে ওই সময় থানাগুলি কার্যত পুলিশশূন্য হয়ে থাকবে।
রাজ্য পুলিশের এডিজি (আইন-শৃঙ্খলা) অনুজ শর্মা বলেন, ‘‘ভোটের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে আগাম কিছু বলা উচিত নয়।’’ কিন্তু নবান্নে বিভিন্ন জেলার পুলিশ অফিসারদের ডেকে ভোটের জন্য নিরাপত্তা বাহিনী মোতায়েনের বৈঠকে এডিজি-ই ৯০% বাহিনীকে কাজে লাগানোর নির্দেশ দিয়েছেন বলে পুলিশ সূত্রে খবর।
নবান্নের এক কর্তা জানান, এ বার ভোট হচ্ছে ১, ৩ এবং ৫ মে। প্রথম দফায় ১২ জেলায় ৩৯ হাজার ৭৯৮টি বুথে ভোট হবে। দ্বিতীয় দফায় ২ জেলায় ৭৯০৫ বুথে এবং শেষ দফায় উত্তরবঙ্গে ১০ হাজার ৭৬৪ বুথে ভোট হবে। প্রথম দফাতেই প্রায় এক লক্ষ পুলিশ প্রয়োজন। রাজ্যের হাতে রয়েছে ৪৫ হাজারের সশস্ত্র বাহিনী। বাকি নিরাপত্তা কর্মী জোগাড় করতে হবে অন্য জেলা থেকে।
সব চেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ প্রথম দফার ভোট। কারণ, ভোটের দু’দিন আগে থেকেই পুরো রাজ্য থেকে পুলিশ ভোটের জেলাগুলিতে চলে যাবে। সেই সময় আবার ৩ এবং ৫ মে’র ভোটের প্রচার থাকবে তুঙ্গে। ৩ মে ভোট বীরভূম, মুর্শিদাবাদে। গোলমালের আশঙ্কায় সেখানে বাড়তি পুলিশ দরকার। কিন্তু ১ মে-র ভোটের পর ব্যালট বাক্স গুছিয়ে পুলিশ ওই দুই জেলায় কী ভাবে পৌঁছবে, তা নিয়ে সংশয়ে কর্তারা। পুলিশ কর্তারা জানাচ্ছেন— ভোট হয়তো পেরোবে, কিন্তু শান্তিতে কি না বলা মুশকিল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy