হোটেলে পর্যাপ্ত খাবার মেলেনি। দিঘায় বেড়াতে গিয়ে এমনই অভিযোগ তুললেন সোদপুরের নয় পর্যটক। যার জেরে ধুন্ধুমার বাধল ওই হোটেলে। পর্যটকেদের দাবি, গোলমালের সময়ে ক্যানসার আক্রান্ত এক মহিলাকে শারীরিক হেনস্থাও করেছেন হোটেলকর্মীরা। সংশ্লিষ্ট হোটেল কর্তৃপক্ষের পাল্টা অভিযোগ, মত্ত অবস্থায় গোলমাল বাধিয়েছেন পর্যটকেরাই। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ঘটনার সূত্রপাত হয় শুক্রবার বিকেলে। স্থানীয় সূত্রে খবর, নিউ দিঘার ওই হোটেলে হঠাৎ পর্যটকদের সঙ্গে হোটেল কর্মীদের তুমুল বচসা শুরু হয়। কিছু ক্ষণেই তা গড়ায় হাতাহাতিতে। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেয়। পর্যটকদের অভিযোগ, তাঁদের যত জনের বুকিং ছিল, তার চেয়ে দু’জনের খাবার কম দেওয়া হয়েছিল। এই নিয়ে প্রতিবাদ করতেই তাঁদের মারধর করা হয়।
হোটেল কর্তৃপক্ষ অবশ্য পাল্টা অভিযোগ করেছেন। তাঁদের দাবি, ওই পর্যটকদের তাণ্ডবে হোটেলের কিছু থালা-বাসন ভেঙে গিয়েছে। হোটেল সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ৯ মে উত্তর ২৪ পরগনার সোদপুর থেকে ন’জন সদস্যের ওই দলটি দিঘা গিয়েছিল। শুক্রবারই তাঁদের হোটেল ছেড়ে দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তার আগে দলের সদস্যেরা উদয়পুরে বেড়াতে যান। সেখান থেকে হোটেলে ফিরে আসার পরেই গোলমাল বাধে। হোটেলের ম্যানেজার শ্যামল দেবনাথের অভিযোগ, ‘‘ওঁরা যখন বিকেলে হোটেলে ফিরেছিলেন, তখন মত্ত অবস্থায় ছিলেন। পর্যটকেরাই হোটেল কর্মীদের মারধর করেন এবং হোটেলের জিনিসপত্র ভাঙচুর করেন।’’
যদিও পর্যটক দলের এক মহিলা সদস্য বলেন, ‘‘আমাদের খাবার কম দেওয়া হয়েছিল কেন, এই প্রশ্ন করতেই হোটেলের কর্মীরা মারধর করতে শুরু করেন। গোলমালে আমার জামাও ছিঁড়ে গিয়েছে।’’ ওই মহিলার স্বামী শনিবার বলেন, ‘‘স্ত্রীকে মারধর করা হচ্ছে দেখে আমি ছুটে গিয়েছিলাম। তার পরে আমাকেও মারধর করা হয়।’’ ঘটনার ব্যাপারে অবশ্য এক প্রত্যক্ষদর্শী বাবলু বসু বলেন, ‘‘ঘটনার সময়ে আমি ছেলের সঙ্গে রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিলাম। ওই পর্যটকদের ছোড়া একটি প্লেটের টুকরো লেগে আমার ছেলে আহত হয়।’’