পঞ্চায়েত ভোটে বেশ কিছু আসনে প্রার্থী দিতে পারেনি তৃণমূল। নির্বাচন কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, রাজ্যে গ্রাম পঞ্চায়েতের মোট আসন রয়েছে ৬৩২২৯টি। সেখানে শাসকদল প্রার্থী দিতে পেরেছে ৬১৫৯১টিতে। অর্থাৎ, সারা রাজ্যে গ্রাম পঞ্চায়েতের ১৬৩৮টি আসনে শাসক দলের প্রার্থী নেই। যেমন, রাজ্য জুড়ে পঞ্চায়েত সমিতির ৯৭৩০টি আসনের মধ্যে ৩১১টি আসনে তৃণমূলের প্রার্থী নেই। তবে জেলা পরিষদের রাজ্যের মোট ৯২৮টি আসনের সব কটিতেই তৃণমূলের প্রার্থী রয়েছে।
মুর্শিদাবাদে গত বার ২৫০টি গ্রাম পঞ্চায়েতের মধ্যে ১৬০টির উপরে গ্রাম পঞ্চায়েত বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হয়েছিল তৃণমূল। এ বার জেলার দু’টি গ্রাম পঞ্চায়েত বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় তৃণমূলের দখলে এসেছে। তৃণমূলের এমন ভরা বাজারেও এ জেলায় গ্রাম পঞ্চায়েতের ৩৩টি আসনে তৃণমূলের কোনও প্রার্থী নেই। নির্বাচন কমিশনের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী মুর্শিদাবাদেগ্রাম পঞ্চায়েতের ৫৫৯৩টি আসনে তৃণমূলের প্রার্থী রয়েছে ৫৫৬৬ জন। তবে জেলা পরিষদ বা পঞ্চায়েত সমিতির সব আসনে এই জেলায় তৃণমূলের প্রার্থী রয়েছে।
কেন এমন হল? তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ বলেন, ‘‘এটা হতেই পারে। নিশ্চই কোনও কৌশলগত কারণ আছে। এই বিষয়টি আঞ্চলিক নেতৃত্বই বলতে পারবেন।’’ মুর্শিদাবাদে তৃণমূলের জঙ্গিপুর সাংগঠনিক জেলার চেয়ারম্যান কানাইচন্দ্র মণ্ডল বলেন, ‘‘স্ক্রুটিনিতে কিছু মনোনয়ন বাতিল হয়েছে বলে জানি।’’ যেখানে দলের প্রার্থী নেই সেখানে আপনারা কাকে ভোট দেওয়ার কথা বলছেন? কানাইচন্দ্রের উত্তর, ‘‘স্বচ্ছ ভাবমূর্তির কোনও নির্দল প্রার্থীকে।’’ বহরমপুর-মুর্শিদাবাদ সাংগঠনিক জেলা তৃণমূলের সভানেত্রী শাওনি সিংহ রায় বলেন, ‘‘নথিপত্রের সমস্যার কারণে একটি-দুটি জায়গায় এমন সমস্যা তৈরি হয়েছে। এ রকম জায়গায় কাকে সমর্থন করা হবে, তা স্থানীয় নেতৃত্ব ঠিক করছেন।’’
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)