পণ্য প্রবেশ কর, বিনোদন কর এবং হোটেল-রেস্তোরাঁর উপর বিলাস করের ক্ষেত্রে বিশেষ ওয়েভার স্কিম আনছে অর্থ দফতর। এ নিয়ে দু’এক দিনের মধ্যেই বিধানসভায় বিল পেশ করা হবে।
অর্থ দফতর সূত্রের খবর, মূলত পণ্য প্রবেশ করের বকেয়া বাবদ বিশাল অঙ্কের টাকা অনাদায়ী হয়ে রয়েছে। ২০১২ সালে এই কর চালু করার পর বেশ কিছু সংস্থা আদালতে গিয়েছিল। অধিকাংশ সংস্থা কর দেওয়া বন্ধও রেখেছিল। যেখানে প্রথম বছর পণ্য প্রবেশ কর বাবদ প্রায় ১২০০ কোটি টাকা আদায় হয়েছিল, মামলার জেরে সেই আয় কমে অর্ধেক হয়ে যায়। গত কয়েক বছরে অনাদায়ী করের পরিমাণ বেড়ে হয়েছে কয়েক হাজার কোটি টাকা। শেষ পর্যন্ত সুপ্রিম কোর্ট রাজ্যের কর আদায়ের অধিকারে সিলমোহর দেয়। সেই আদেশের পর বহু সংস্থাকেই এখন বকেয়া কর মেটাতে হবে।
কিন্তু বর্তমান আইনে বকেয়া কর নিতে হলে নিয়ম মেনে তার উপর সুদ এবং জরিমানাও আদায় করার কথা। সেই পথ এড়িয়ে বিভিন্ন সংস্থাকে সুবিধা দিতেই সরকার একটি নতুন ওয়েভার স্কিম আনছে। যেখানে সুদ-জরিমানা ছাড়া শুধু বকেয়া করের টাকা মেটালেই হবে। অর্থ দফতরের আশা, বহু সংস্থা এই ওয়েভার স্কিমের সুবিধা নিয়ে বকেয়া পণ্য প্রবেশ কর মিটিয়ে দেবে।
পণ্য প্রবেশ কর ছাড়াও বিনোদন কর এবং হোটেল-রেস্তোরাঁর উপর বিলাস কর আদায়ের ক্ষেত্রেও ওয়েভার স্কিম আনছে অর্থ দফতর। এই দুই করের ক্ষেত্রে অবশ্য অনাদায়ী যে কর নিয়ে মামলা হয়েছে তার অর্ধেক মিটিয়ে দিলেই সমস্যা মিটবে। অর্থ দফতরের কর্তারা জানান, বিনোদন কর এবং বিলাস করের ক্ষেত্রেও বহু কোটি টাকা বকেয়া পড়ে রয়েছে। ওয়েভার স্কিমের সুবিধা নিয়ে অনেকেই তা মেটাতে আগ্রহী হবেন। তাতে রাজ্যের ঘরে বাড়তি কিছু রাজস্ব আসবে।
আসলে পণ্য ও পরিষেবা কর (জিএসটি) চালু হয়ে গেলে এই করগুলির উপযোগিতা সে ভাবে থাকবে না। ফলে এখনও এই করগুলির নিয়ন্ত্রণে যে সব সংস্থা রয়েছে তারাও আর বকেয়া মেটাতে উৎসাহী হবে না। সেই কারণে নির্দিষ্ট কিছু দিনের জন্য বিশেষ সুবিধা ঘোষণা করে রাজস্ব বাড়ানোর পরিকল্পনা করেছে নবান্ন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy