অমর্ত্যর জমি সংক্রান্ত বিবাদ রাজনৈতিক স্বার্থে চাপা দেওয়া হচ্ছে বলেও দিলীপ দাবি করেন।
শান্তিনিকেতনে বিশ্বভারতীর জমি নিয়ে ফের নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেন ও রাজ্য সরকারের সমালোচনা করলেন বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। অমর্ত্য সেনকে বিশ্বভারতীর জমি দখল করার অধিকার কে দিয়েছেন তা নিয়ে শুক্রবার ফের প্রশ্ন তোলেন তিনি। তাঁর কথায়, ‘‘বিশ্বভারতীর জমি একজন দখল করে নেবেন তা হয় না। তিনি যেই হোন না কেন। কে অধিকার দিয়েছে বিশ্বভারতীর সম্পত্তি ও জমি দখল করার।’’ জমি সংক্রান্ত বিবাদে অমর্ত্য সেনের মতো ব্যক্তির দূরে থাকা উচিত বলেও মনে করেন দিলীপ। তাঁর মতে, নোবেল পাওয়ার পর ওই স্তরের ব্যক্তির এই ধরনের বিবাদ থেকে দূরে থাকা উচিত।
অমর্ত্যের দাবিকে সমর্থন করার জন্য দিলীপের তোপের মুখে পড়ে তৃণমলও। অমর্ত্যর জমি সংক্রান্ত বিবাদ রাজনৈতিক স্বার্থে চাপা দেওয়া হচ্ছে বলেও দিলীপ দাবি করেন। তৃণমূলকে কটাক্ষ করে তিনি প্রশ্ন তোলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রীর অস্তিত্ব সঙ্কট। সরকার চলে যাবে তাই খড়কুটো খুঁজছেন। তাই মিছিলে রবীন্দ্রনাথ, অমর্ত্য সেনের ছবি নিয়ে হাঁটছেন। তাঁরা কি তৃণমূলের সদস্য না নেতা?’’ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজনীতি, সরকার ও দল বলে কিছু নেই, তাই সমাজকে তাঁর দেওয়ার কিছু নেই বলেও মন্তব্য করেন মেদিনীপুরের সাংসদ। মুখ্যমন্ত্রী মমতার মেয়াদ শেষ এখন শুধু সময়ের অপেক্ষা বলেও মন্তব্য করেন দিলীপ।
প্রসঙ্গত, এর আগে ভারতরত্ন অমর্ত্য সেনকে ‘জমিচোর’ বলে তীব্র আক্রমণ করেছিলেন দিলীপ। তিনি প্রশ্ন তুলেছিলেন, ‘‘জমিচোরকে কি নোবেল দেওয়া হয়েছে? দেশ ওঁকে অনেক কিছু দিয়েছে। উনি দেশকে কী দিয়েছেন?’’ দিলীপের ওই মন্তব্যের তীব্র নিন্দা করেছিল তৃণমূল, বাম এবং কংগ্রেস। অমর্ত্যকে অপমান করা হয়েছে এই অভিযোগে পথে নেমে ছিলেন বিদ্বজনেরাও। তার পরেও ফের গেরুয়া শিবিরের নিশানায় অমর্ত্য।
আরও পড়ুন: দুর্ঘটনা এড়ালেন বাবুল সুপ্রিয়, সচিবের গাড়িতে ধাক্কা অন্য গাড়ির
আরও পড়ুন: পায়ে অনুযোগের বল, লক্ষ্ণীকে হাওড়া ময়দানে প্রসূনের ডজ
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy