তমলুকের সাংসদ দিব্যেন্দু অধিকারী। ফাইল চিত্র
দলীয় নির্দেশ উপেক্ষা করেই উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনে ভোট দিয়েছেন অধিকারী পরিবারের সংসদ সদস্যরা। তাই পাল্টা প্রতিক্রিয়া হিসেবে তৃণমূলের লোকসভার দলনেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় কড়া চিঠি দিয়েছেন কাঁথির অশীতিপর সাংসদ শিশির অধিকারী ও তাঁর সাংসদ পুত্র দিব্যেন্দু অধিকারীকে। সেই চিঠি পাওয়ার কথা স্বীকার করলেও কোনও জবাব দিতে নারাজ তমলুকের সাংসদ। তিনি বলেন, ‘‘আমার দিল্লির বাড়ির ঠিকানায় চিঠি এসেছে বলে জেনেছি। চিঠিতে কোথাও জবাব দেওয়ার কথা লেখা হয়নি। তাই আমি জবাব দেব না।’’ দিব্যেন্দুর আরও সংযোজন, ‘‘যদি জবাব চাওয়া হত নিশ্চয়ই জবাব দিতাম।’’
শনিবার উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনে তাঁরা দু’জনেই তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্বের নির্দেশ উপেক্ষা করে ভোট দিয়েছেন। যা দলবিরোধী কাজের শামিল বলেই মনে করছে তৃণমূল সংসদীয় দল। তাই তৃণমূল লোকসভার দলনেতা চিঠি দেন সাংসদ পিতাপুত্রকে। তৃণমূল সূত্রে জানা যায় গত বৃহস্পতিবার সাংসদ পিতাপুত্রকে পৃথক ভাবে চিঠি দিয়ে ভোটদানে বিরত থাকতে নির্দেশ দিয়েছিলেন সুদীপ। কিন্তু সেই নির্দেশ না মেনে শিশির-দিব্যেন্দু দিল্লি গিয়ে ভোট দিয়েছেন। চিঠিতে সুদীপ লিখেছেন, ‘৪ অগস্ট জানানো হয়েছিল যে দলের লোকসভা ও রাজ্যসভার সাংসদরা উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনে ভোটদানে বিরত থাকবেন। কিন্তু আমরা লক্ষ্য করেছি, আপনি উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনে ভোট দিয়েছেন।’ ৪ তারিখ লিখিত ভাবে নির্দেশদেওয়া সত্ত্বেও কেন আমান্য করা হল, তা নিয়ে বিরক্ত তৃণমূল।
তবে এ বিষয়ে কাঁথির সাংসদ শিশিরের প্রতিক্রিয়া জানা যায়নি। শনিবার উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনের পর তিনি বারাণসী চলে গিয়েছেন বলে আনন্দবাজার অনলাইনকে জানিয়েছিলেন তিনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy