Advertisement
E-Paper

‘তোমাকে চেনাই যাচ্ছে না গো!’ শঙ্করকে দেখে কান্নায় ভেঙে পড়লেন স্ত্রী, দু’জনের কী কথা হল আদালতে?

আদালত কক্ষের বাইরে শঙ্করকে বার করা হলে দেখা করতে আসেন স্ত্রী জ্যোৎস্না আঢ্য। তাঁকে বিধ্বস্ত দেখাচ্ছিল। কয়েক জন ধরে ধরে নিয়ে আসছিলেন তাঁকে। শঙ্করকে দেখেই উচ্চৈঃস্বরে কেঁদে ওঠেন তিনি।

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২০ জানুয়ারি ২০২৪ ১৪:৩৮
Wife of Shankar Adhya cries in front of husband in court.

শঙ্কর আঢ্য। —ফাইল চিত্র।

আদালত কক্ষের বাইরে স্বামী শঙ্কর আঢ্যকে দেখে কান্নায় ভেঙে পড়লেন তাঁর স্ত্রী জ্যোৎস্না আঢ্য। শঙ্করকে চেনাই যাচ্ছে না বলে জানান তিনি। জ্যোৎস্নার দাবি, গ্রেফতারির পর তাঁর চেহারা খারাপ হয়ে গিয়েছে। শনিবার কলকাতা নগর দায়রা আদালতে হাজির করানো হয় শঙ্করকে। রেশন ‘দুর্নীতি’ মামলায় তাঁকে গ্রেফতার করেছে ইডি। শনিবারই তাঁর ইডি হেফাজতের মেয়াদ শেষ হয়েছে। কিন্তু আদালতে শঙ্কর জামিনের আবেদন জানাননি। ভাল চিকিৎসা পরিষেবার আবেদন জানিয়েছেন তিনি।

শনিবার আদালত কক্ষের বাইরে শঙ্করকে বার করা হলে তাঁর সঙ্গে দেখা করতে আসেন জ্যোৎস্না। তাঁকে বিধ্বস্ত দেখাচ্ছিল। কয়েক জন ধরে ধরে নিয়ে আসছিলেন। শঙ্করকে দেখেই উচ্চৈঃস্বরে কেঁদে ওঠেন তিনি। স্বামীর পায়ের কাছে লুটিয়ে পড়েন। কাঁদতে কাঁদতে বলেন, ‘‘তোমাকে তো চেনাই যাচ্ছে না গো। একদম অন্য রকম লাগছে।’’ হাউ হাউ করে কাঁদছিলেন জ্যোৎস্না। তাঁকে সামলানো যাচ্ছিল না। স্ত্রীকে কাঁদতে দেখে নিচু হয়ে ঝুঁকে পড়েন শঙ্করও। জ্যোৎস্নাকে ধরে তোলেন তিনি। তার পর তাঁকে সান্ত্বনা দেন। অন্যদের জানান, স্ত্রীকে যেন সেখান থেকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়।

আদালতে শঙ্করের আইনজীবী জানান, তাঁর মক্কেলের একটি কিডনি নেই। রক্তে শর্করার মাত্রা এবং রক্তচাপও অনেক বেশি। ভাল চিকিৎসা পরিষেবার আবেদন জানিয়েছেন তিনি। তবে ইডি তার বিরোধিতা করে। ইডির আইনজীবী জানিয়েছেন, শঙ্করের অসুস্থতা নতুন নয়। তবে আপাত ভাবে তিনি ‘সুস্থ’। জেলেও তাঁর চিকিৎসা হতে পারে। তাঁর যদি হাসপাতালে ভর্তির প্রয়োজন হয়, জেল হাসপাতালের চিকিৎসক সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন। সওয়ালে ইডির আইনজীবী জানান, এসএসকেএম হাসপাতালে অনেকে ভর্তি হয়ে মাসের পর মাস কাটিয়েছেন। কী অসুখ তাঁদের আছে, জানা যায়নি। শঙ্করের এই মুহূর্তে হাসপাতালে ভর্তির প্রয়োজন আছে বলে মনে করছেন না তাঁরা।

গত ৫ জানুয়ারি উত্তর ২৪ পরগনার বনগাঁয় শঙ্করের বাড়িতে প্রায় ১৭ ঘণ্টা টানা তল্লাশি চালায় ইডি। তার পর রাতে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। শঙ্করকে নিয়ে যাওয়ার সময় স্থানীয়দের বিক্ষোভের মুখে পড়ে ইডি। পরে তাঁকে আদালতে হাজির করিয়ে ইডি জানায়, ২০ হাজার কোটি টাকার বিদেশে লেনদেন হয়েছে শঙ্করের একাধিক ফরেক্স সংস্থার মাধ্যমে। রেশন ‘দুর্নীতি’র সঙ্গে সেই টাকার যোগ থাকতে পারে বলে ইডির অনুমান। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার দাবি, ওই ২০ হাজার কোটির মধ্যে অন্তত ৯ থেকে ১০ হাজার কোটি জ্যোতিপ্রিয়ের। শঙ্কর অবশ্য সে সব অভিযোগ প্রথম থেকেই অস্বীকার করে আসছেন।

Court West Bengal Ration Distribution Case Shankar Adhya
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy