ফাইল চিত্র।
বিজেপি-ভজনায় আরও একধাপ এগোলেন মুকুল রায়। কাগজে-কলমে এখনও তৃণমূলের সাংসদ তিনি। দলের প্রাথমিক সদস্য পদও ছাড়েননি। কিন্তু বিজেপির সঙ্গে তাঁর ঘনিষ্ঠতা বাড়ানোর জন্য ইতিমধ্যেই সুর বদলে ফেলেছেন তিনি। বুধবার তিনি বলেন, ‘‘বিজেপি সাম্প্রদায়িক নয়। অবশ্যই ধর্মনিরপেক্ষ। না হলে নির্বাচন কমিশন বিজেপিকে অনুমোদন দিত কি?’’
সেই সঙ্গেই তাঁর দাবি, ‘‘বিজেপি পাশে না থাকলে ১৯৯৮ সালে তৃণমূলের জন্মই হত না। শুরু থেকে ২০০৬ সালের বিধানসভা ভোট পর্যন্ত বিজেপির সঙ্গেই জোট বেঁধে তৃণমূল লড়েছে। বিজেপির সঙ্গে জোট গড়েই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রথম রেলমন্ত্রী হয়েছিলেন।’’
তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় অবশ্য কটাক্ষ করেছেন, ‘‘আমার বন্ধুর এ সব ব্লান্ডার ছাড়া আর কী? মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দীর্ঘ রাজনৈতিক সংগ্রামের মধ্য দিয়ে উঠে এসেছেন। যিনি এ সব বলছেন, তাঁর কী রাজনৈতিক সংগ্রাম রয়েছে?’’ তাঁর আরও মন্তব্য, ‘‘ক্ষমতার মোহে অনেকেই অনেক জায়গায় যেতে পারেন। কিন্তু রাজনীতিতে আর কী পেলে আনুগত্য থাকে, এটা বুঝলাম না! তাবড় তাবড় নেতার পাশ থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি সরিয়ে নিন। কাউকে খুঁজে পাওয়া যাবে না।’’ তৃণমূলের মহাসচিবের এমন বক্তব্য শুনেও মুকুল ফের বলেছেন, ‘‘শুরু থেকে বিজেপি সঙ্গে না থাকলে তৃণমূল আজকের জায়গায় পৌঁছতে পারত না।’’
আরও পড়ুন: রোগিণীর মৃত্যু, তাণ্ডব আমরিতে
সাম্প্রতিককালে মুকুলের তরফে বিজেপি নেতৃত্বের সঙ্গে যোগাযোগ অনেকটাই বেড়েছে। বিজয়ার শুভেচ্ছার পাশাপাশি বিজেপির রাজ্য কার্যকারিণী কমিটির প্রত্যেক সদস্যের বাড়িতে মিষ্টি পাঠিয়েছেন মুকুল। আগামী শুক্রবার তিনি দিল্লি যাচ্ছেন। তার পরে সংসদে গিয়ে উপ-রাষ্ট্রপতির কাছে তিনি তৃণমূলের সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা জমা দেবেন বলেও স্থির করে ফেলেছেন। ওই সময়েই তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদককে চিঠি দিয়ে দলের সাধারণ সদস্য পদ থেকেও ইস্তফা দেবেন মুকুল
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy