প্রতীকী ছবি।
জঙ্গলের মধ্যে স্বামীকে গাছে বেঁধে স্ত্রীকে গণধর্ষণ করার অভিযোগ উঠল চার যুবকের বিরুদ্ধে। রবিবার বিকেলে ঘটনাটি ঘটেছে বীরভূমের সদাইপুর থানা এলাকার চিনপাইয়ে, একটি পরিত্যক্ত বারুদ কারখানা লাগোয়া জঙ্গলে। অভিযুক্তেরা সকলেই সদাইপুর থানা এলাকার আদুরিয়া গ্রামের বাসিন্দা। জেলা পুলিশের এক কর্তা জানান, একটি অভিযোগ দায়ের হয়েছে। ইতিমধ্যেই কাঞ্চন ঘোষ ও পার্থ ঘোষ নামে দুই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে। নির্যাতিতার মেডিক্যাল টেস্ট করানো হয়েছে। ঘটনার তদন্ত চলছে।
ওই দম্পতি চিনপাই পঞ্চায়েত এলাকার একটি গ্রামের বাসিন্দা। নির্যাতিতার বাপের বাড়ি একই পঞ্চায়েত এলাকায়। দুই সন্তানও রয়েছে। স্বামী পেশায় ট্রাক্টর চালক। তিনি জানিয়েছেন, রবিবার বিকেলে স্ত্রীকে নিয়ে মোটরবাইকে পরিত্যক্ত বারুদ কারখানা লাগায়ো জঙ্গলের রাস্তা দিয়ে পারুলিয়া পঞ্চায়েত এলাকায় আত্মীয়ের বাড়ি যাচ্ছিলেন। দুই সন্তান সঙ্গে ছিল না। জঙ্গলে ঢুকতেই পারুলিয়া এলাকার চার যুবক তাঁদের পথ আটকায়। সদাইপুর থানায় লিখিত অভিযোগে নির্যাতিতা জানান, মোটরবাইক থেকে তাঁদের নামিয়ে তাঁর স্বামীকে গাছের সঙ্গে লতা দিয়ে বেঁধে ফেলে ওই চার যুবক। তার পরে তাঁকে পাশে টেনে নিয়ে প্রায় ঘণ্টা ধরে অত্যাচার চালানোর পরে পালিয়ে যায় অভিযুক্তরা। নির্যাতিতার দাবি, যে চার জন তাঁকে ধর্ষণ করেছে, তাদের মধ্যে কাঞ্চনকে চিনতে পেরেছিলেন। সে গৃহশিক্ষকতা করে। পার্থ-সহ বাকি তিন অভিযুক্ত কাঞ্চনের বন্ধু বলে পুলিশ জানতে পেরেছে। ঘটনাকে ঘিরে ওই এলাকায় উত্তেজনাও ছড়িয়েছে। বাকি দুই অভিযুক্তের খোঁজে তল্লাশি চলছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
নির্যাতিতার কথায়, ‘‘আত্মীয়ের বাড়িতে যাওয়ার জন্য ওই জঙ্গল-পথে কম ঘুরতে হবে সেখান দিয়ে যাচ্ছিলাম। কিন্তু সেখানে এমন বিপদ অপেক্ষা করেছিল, কে জানত! স্বামীকে গাছে বেঁধে আমার উপরে চরম অত্যাচার চালিয়েছে শয়তানগুলো। ওদের কঠোর শাস্তি চাই।’’ বধূর স্বামীর আক্ষেপ, ‘‘আমার চোখের সামনে এমন ঘটনা ঘটে গেল। কিন্তু কিছু করতে পারলাম না।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy