Advertisement
২৯ মার্চ ২০২৩
trade union strike

সাধারণ ধর্মঘটের সমর্থনে মিছিল দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা জুড়ে

ধর্মঘট ঘিরে রাজনৈতিক তরজা শুরু হলেও, সাধারণ মানুষের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া।

ধর্মঘটের সমর্থনে মিছিলে কান্তি গঙ্গোপাধ্যায়। নিজস্ব চিত্র

ধর্মঘটের সমর্থনে মিছিলে কান্তি গঙ্গোপাধ্যায়। নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
রায়দিঘি শেষ আপডেট: ২৫ নভেম্বর ২০২০ ০৬:১৫
Share: Save:

বিভিন্ন কেন্দ্রীয় নীতির প্রতিবাদে এবং ৭ দফা দাবিতে দেশ জুড়ে সাধারণ ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে কেন্দ্রীয় শ্রমিক সংগঠনগুলি। সেই কর্মসূচিকে সামনে রেখে বুধবার দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার বিভিন্ন এলাকায় বাম কর্মী সমর্থকেরা রাস্তায় নামলেন।

Advertisement

এ দিন রায়দিঘি, ডায়মন্ড হারবার, কাকদ্বীপ, বারুইপুর, ভাঙড়, বজবজ- সহ বিভিন্ন এলাকাতেই রাস্তায় নামেন বামকর্মীরা। জেলা জুড়ে ধর্মঘটের সমর্থনে প্রচার করা হয়। এলাকার সাধারণ মানুষ ও ব্যবসায়ীদের কাছে ধর্মঘট পালনের আবেদন করা হয়। পথে নামেন সিপিএম নেতা কান্তি গঙ্গোপাধ্যায়ও। তিনি বলেন ‘‘আমরা চাই প্রত্যেক গরিব মানুষকে মাসিক সাড়ে ৭ হাজার টাকা ভাতার ব্যবস্থা করুক সরকার। কেন্দ্রের কৃষি ও শ্রম আইন কৃষক ও শ্রমিকদেরকে বিপদের মুখে ফেলবে। তাই সাধারণ ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে দেশের কৃষক-শ্রমিকরাই।’’ কান্তির অভিযোগ, ধর্মঘটকে সমর্থন করছে না তৃণমূল।

তৃণমূল শ্রমিক সংগঠনের দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার সভাপতি শক্তি মণ্ডল বলেন ‘‘আমরা মানুষকে বুঝিয়েছি। এক দিন ধর্মঘট মানে খেটে খাওয়া মানুষের ক্ষতি। জেলার মানুষ এই কর্মসূচি মেনে নেবে না। আর পাঁচটা সাধারণ দিনের মত মানুষ রাস্তা ঘাটে চলা ফেরা করবে।’’

আরও পড়ুন: দিলীপ ঘোষের সভা ঘিরে উত্তপ্ত বীরভূম, চলল গুলি

Advertisement

উল্টো পথে হেঁটেই ধর্মঘট কার্যকর না করার জন্য প্রচার করে বিজেপি। দলের নেতা অভিজিৎ দাস বলেন, ‘‘কৃষকদের সুরক্ষার জন্য এই কৃষি আইন। সাধারণ মানুষকে ভুল বোঝাচ্ছে বামেরা। কোনটা ভাল আর কোনটা খারাপ মানুষ সেটা বোঝে। জেলায় বনধের আদৌ কোন প্রভাব পড়বে না।’’

আরও পড়ুন: ‘উনি আসবেন কি না জানা নেই’, মন্তব্য সিরাজের, শুভেন্দু প্রশ্নে নীরব বিজেপি

ধর্মঘট ঘিরে রাজনৈতিক তরজা শুরু হলেও, সাধারণ মানুষের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। ডায়মন্ড হারবারের বাসিন্দা দিনমজুর স্বপন হালদারের কথায়, ‘‘লকডাউনের সময় থেকেই আর্থিক টানাপড়েন শুরু হয়েছে। সদ্য ট্রেন চালু হওয়ায় কলকাতা যেতে পারছি। এই সময় যদি ধর্মঘট হয় তা হলে এক দিনের আয় হাতছাড়া হবে।’’ ক্যানিংয়ের বাসিন্দা পিন্টু গায়েনের কথায়, ‘‘অনেক কষ্ট করে জমিতে চাষ করতে হয়। যে আইন আমাদের পথে বসাবে তা রুখতে ধর্মঘট হলে আমার কোনও আপত্তি নেই।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ)
Follow us on: Save:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE
Popup Close
Something isn't right! Please refresh.