বাংলায় এসে গিয়েছে ‘অক্ষত’। ছবি: সংগৃহীত।
অযোধ্যা থেকে তিন কলসি ভর্তি হলুদ চাল ‘অক্ষত’ চলে এল বাংলায়। গত রবিবার অযোধ্যায় বিশেষ পুজোর পরে সব রাজ্যে এই চাল পাঠায় রামমন্দির নির্মাণকারী সংগঠন ‘শ্রীরাম জন্মভূমি তীর্থ ক্ষেত্র’। বিশ্ব হিন্দু পরিষদের সাংগঠনিক হিসাবে দেশে মোট ৪৫টি রাজ্য। পশ্চিমবঙ্গে তিনটি আলাদা রাজ্যের ভাগ রয়েছে। উত্তর, মধ্য এবং দক্ষিণবঙ্গ। উত্তরবঙ্গের জন্য হলুদ চালের কলস সরাসরি শিলিগুড়ি পৌঁছে গিয়েছে। বাকি দুই বঙ্গের জন্য দু’টি কলস জম্মুতাওয়াই এক্সপ্রেসে করে অযোধ্যা থেকে কলকাতায় এসেছে। আপাতত কলস দু’টি সংরক্ষিত রাখবে পরিষদ। ডিসেম্বরের মাঝামাঝি সময় থেকে তা গ্রামে গ্রামে নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা।
প্রসঙ্গত, আগামী ২২ জানুয়ারি রামমন্দিরের উদ্বোধন হওয়ার কথা অযোধ্যায়। পরিষদ যাকে মন্দিরের ‘প্রাণপ্রতিষ্ঠা’ বলছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সেই উদ্বোধনে অংশ নেবেন। সেখানে যাতে দেশের সব প্রান্ত থেকে মানুষ যাতে অযোধ্যায় সমবেত হন তার জন্য পরিষদ দেশ জুড়ে কর্মী, সমর্থক এবং সাধারণ মানুষকে আমন্ত্রণ জানানোর কর্মসূচি নিয়েছে। যেটা ডিসেম্বরের মাঝামাঝি সময় থেকে শুরু করার কথা। উত্তরপ্রদেশের রীতি মেনে আমন্ত্রণের চিঠির সঙ্গে থাকবে ‘অক্ষত’ চাল। সাধারণ চালে হলুদ ও ঘি মাখিয়ে তৈরি হয় ‘অক্ষত’। যা কোনও শুভ অনুষ্ঠানে ক্ষয় রোধ করতে পারে বলে বিশ্বাস।
অযোধ্যায় ১০০ কুইন্টাল চাল এনে গত রবিবার হয় অক্ষত পূজা। সঙ্গে এক কুইন্টাল কাঁচা হলুদ ও এক কুইন্টাল দেশি ঘি দিয়ে ‘অক্ষত’ তৈরি হয় বলে পরিষদ জানিয়েছে। এর পরে তা পিতলের কলসে ভরে রামলালার সামনে রেখে পুজোও। শেষে তা দেশের বিভিন্ন রাজ্যের উদ্দেশে রওনা দেয়। বিশ্ব হিন্দু পরিষদের কর্মীরা ট্রেনে বা বাসে করে বিভিন্ন রাজ্যে গিয়েছেন। একই ভাবে বাংলাতেও এসে গিয়েছে ‘অক্ষত’।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy