Advertisement
০৭ মে ২০২৪
সিআরপিএফ জওয়ান-সহ আটক ৫
Bhagwangola

ভগবানগোলায় বাবার বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের জেরে খুন ছেলে!

মৃত পিন্টুর হাত হাত-পা বাঁধা ছিল। পায়ে ক্ষতচিহ্নও ছিল।

মৃত পিন্টু দাস। মূল অভিযুক্তকে নিয়ে যাচ্ছে পুলিশ। —নিজস্ব চিত্র

মৃত পিন্টু দাস। মূল অভিযুক্তকে নিয়ে যাচ্ছে পুলিশ। —নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
ভগবানগোলা শেষ আপডেট: ০৪ নভেম্বর ২০২০ ১২:২৯
Share: Save:

বাবার বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের টানাপড়েনে খুন হতে হল ছেলেকে। মুর্শিদাবাদের ভগবানগোলা থানার ললিতাকুড়ি এলাকার এই ঘটনায় বুধবার সকালে তুমুল চাঞ্চল্য ছড়ায়। এ দিন সকালে বছর কুড়ির পিন্টু দাসের হাত-পা বাঁধা অবস্থায় ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। মূল অভিযুক্ত-সহ ৫ জনকে আটক করেছে পুলিশ।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত যুবক পিন্টুর বাবা উজ্জ্বল দাসের সঙ্গে পাড়ার এক গৃহবধূর বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের বিষয়টি জানাজানি হয়ে যায়। তার পর থেকেই ওই গৃহবধূ এবং উজ্জ্বল দাসের পরিবারের মধ্যে কোন্দল শুরু হয়েছিল। গত দু’-তিন দিনে তা চরমে ওঠে। তার পর এ দিন সকালে নিজেদের বাড়িতেই একটি নির্মীয়মাণ ঘরে পিন্টুর ঝুলন্ত দেহ দেখতে পান স্থানীয়রা। তাঁর হাত-পা বাঁধা ছিল। মৃতদেহ নামিয়ে আনেন গ্রামবাসীরাই। পিন্টুর পায়ে ক্ষতচিহ্নও ছিল। স্থানীয়দের প্রাথমিক অনুমান, বাবার ওই সম্পর্কের টানাপড়েনেই খুন হয়েছেন পিন্টু।

আরও পড়ুন‌: বহু দিন পর শুভেন্দুর মুখে ‘নেত্রী’, বার্তা কি কালীঘাটকে

আরও পড়ুন: সকালে লটারি কেটে বিকেলে কোটিপতি! রাতারাতি দিনবদল ভাতারের দিনমজুরের

খবর পেয়ে গ্রামে গিয়ে মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায় পুলিশ। গ্রামবাসী ও পিন্টুর পরিবারের অভিযোগের তির ওই গৃহবধূর স্বামীর দিকে। তিনি সিআরপিএফ-এ কর্মরত। তবে ময়নাতদন্তের আগে এ নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে রাজি হননি পুলিশ আধিকারিকরা। তবে প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের জেরেই পিন্টু খুন হয়ে থাকতে পারেন। তবে অন্য সব সম্ভাবনাও খতিয়ে দেখছেন পুলিশ আধিকারিকরা।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Bhagwangola Murder
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE