Advertisement
E-Paper

অধীরের পছন্দেই সিলমোহর দিল দিল্লি

তাঁর প্রস্তাবিত প্রার্থীর পরিবর্তে হুগলিতে অন্য কাউকে টিকিট দেওয়া হলে রাজনীতি থেকে সন্ন্যাস নেওয়ার হুমকি দিয়েছিলেন প্রদেশ কংগ্রেস নেতা আব্দুল মান্নান। একই ভাবে কৃষ্ণনগরে প্রস্তাবিত প্রার্থীর নাম নিয়ে আপত্তি ছিল জেলা কংগ্রেস সভাপতি শঙ্কর সিংহেরও। কিন্তু তাঁদের আপত্তি সত্ত্বেও ওই দুই আসনে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীর প্রস্তাবিত প্রার্থীদেরই টিকিট দিল হাইকম্যান্ড।

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ২৫ মার্চ ২০১৪ ০৪:৩২

তাঁর প্রস্তাবিত প্রার্থীর পরিবর্তে হুগলিতে অন্য কাউকে টিকিট দেওয়া হলে রাজনীতি থেকে সন্ন্যাস নেওয়ার হুমকি দিয়েছিলেন প্রদেশ কংগ্রেস নেতা আব্দুল মান্নান। একই ভাবে কৃষ্ণনগরে প্রস্তাবিত প্রার্থীর নাম নিয়ে আপত্তি ছিল জেলা কংগ্রেস সভাপতি শঙ্কর সিংহেরও। কিন্তু তাঁদের আপত্তি সত্ত্বেও ওই দুই আসনে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীর প্রস্তাবিত প্রার্থীদেরই টিকিট দিল হাইকম্যান্ড।

এবারের লোকসভা ভোটের আগে আজ, সোমবার পশ্চিমবঙ্গে প্রচারে আসবেন রাহুল গাঁধী। তার আগে রাজ্যের বাকি তিন আসনে কংগ্রেস প্রার্থীদের নাম সোমবার ঘোষণা করে দেওয়া হল। হুগলি লোকসভা কেন্দ্রে প্রার্থী করা হল প্রীতম ঘোষকে। কৃষ্ণনগরে রাজিয়া আহমেদ এবং বর্ধমান-দুর্গাপুর আসনে বিপিন ভোরাকে প্রার্থী করা হল।

মান্নানকে হুগলি জেলার শ্রীরামপুর কেন্দ্রে প্রার্থী ঘোষণা কংগ্রেস আগেই করেছিল। কিন্তু ওই জেলার হুগলি কেন্দ্রে প্রীতম ঘোষকে প্রার্থী করা হতে পারে জানার পরে মান্নান ও জেলা কংগ্রেস নেতাদের একাংশ আপত্তি তোলেন। কিন্তু প্রীতমকে প্রার্থী ঘোষণার পরে এ দিন মান্নান বলেন,“আমি তো আগেই বলেছি, দলের কর্মীদের আবেগের কাছে পরাস্ত হয়েছি। তাঁরা ইতিমধ্যেই লড়াইয়ে নেমে পড়েছেন। তাই ভোটে লড়ার থেকে পিছিয়ে আসার প্রশ্ন নেই।”

সূত্রের খবর, গতকাল রাতে সনিয়া গাঁধীর রাজনৈতিক সচিব আহমেদ পটেল মান্নানকে ফোন করেন। তিনি মান্নানকে বোঝান যে, “এটা মনকষাকষি বা অভিমানের সময় নয়। ঐক্যবদ্ধ ভাবে লড়াই করার সময়।” তা ছাড়া হাইকম্যান্ডের নেতাদের পাশাপাশি অধীরবাবুও মান্নানের সঙ্গে কথা বলায় নতুন করে সমস্যা হয়নি। তবেএ দিন কৃষ্ণনগরের প্রার্থী নিয়ে উষ্মা প্রকাশ করেছেন নদিয়ার শঙ্করবাবু। প্রার্থীকে তিনি ‘চেনেন না’ জানিয়ে বলেন, “যে কেন্দ্রে বিজেপি-র সত্যব্রত (জলুবাবু) মুখোপাধ্যায় এবং তৃণমূলের তাপস পালের মতো প্রতিপক্ষ, সেখানে প্রার্থী মনোনয়নের ক্ষেত্রে আরও গভীরে চিন্তা-ভাবনার প্রয়োজন ছিল বলে আমি মনে করি।” অবশ্য নিজেকে ‘দলের অনুগত সৈনিক’ পরিচয় দিয়ে সহযোগিতা করার আশ্বাস দিয়েছেন শঙ্করবাবু।

প্রার্থী মনোনয়ন নিয়ে দলের একাংশের আপত্তির প্রশ্নে অধীরবাবু বলেন, “লোকসভা ভোটে প্রার্থী তালিকা তৈরির প্রক্রিয়া এবার যখন শুরু হয়, তখন প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতি পদে ছিলাম না। সভাপতির দায়িত্ব যখন আমায় দেওয়া হয়, তার আগেই প্রদেশ নির্বাচন কমিটি একটি তালিকা তৈরি করে ফেলেছিল। তবে দায়িত্ব নেওয়ার পর কিছু আসনে প্রার্থীর নাম পরিবর্তন করেছি।” দলীয় নেতাদের একাংশের মত, কৃষ্ণনগরে কিছুটা কৌশলেই এবার মুসলিম প্রার্থী দিতে চেয়েছেন অধীরবাবু।

adhir chowdhury loksabha election congress
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy