আগামী ৩০ নভেম্বর দলের ‘উত্থান দিবস’-এ ধর্মতলায় সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহের সভা করার জন্য কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে রাজ্য বিজেপি। আজ, মঙ্গলবার সেই মামলার শুনানি হওয়ার কথা।
তৃণমূল তাদের ‘শহিদ দিবস’ ২১ জুলাইয়ের সভা ধর্মতলায় ভিক্টোরিয়া হাউসের সামনে করে। সেখানেই বিজেপি অমিতের সভা করতে চায়। ওই আবেদন জানিয়ে পুলিশকে তারা চারটি চিঠি দিয়েছে এবং সেগুলি যে পুলিশের পক্ষ থেকে গ্রহণ করা হয়েছে, তার প্রমাণও তাদের কাছে আছে। কিন্তু পুলিশ ওই জায়গায় বিজেপির সভা করায় আপত্তি জানিয়েছে। কলকাতা পুলিশের যুগ্ম কমিশনার (সদর) রাজীব মিশ্র সোমবার বলেন, “বিজেপি ৩০ নভেম্বর ধর্মতলার যেখানে সভা করতে চেয়েছে, সেখানে তাদের সভা করতে দেওয়া হবে না।”
কিন্তু তৃণমূলকে যেখানে সভা করতে দেওয়া হয়, সেখানে অন্য দলকে দেওয়া হবে না কেন? রাজীববাবুর জবাব, “তৃণমূল বিগত সরকারের জমানা থেকেই ওখানে ২১ জুলাইয়ের সভা করে আসছে। তাই তাদের দেওয়া হয়। অন্য কাউকে দেওয়া হয় না।”
বিজেপির রাজ্য সভাপতি রাহুল সিংহের অবশ্য বক্তব্য, “চিরকালই পুলিশ লিখিত আবেদনপত্র গ্রহণ করে। তার ভিত্তিতেই সভা-সমাবেশ হয়ে থাকে। এখন পুলিশ বলছে, ওখানে সভা করা যাবে না। আমরা তা মানব না। তাই মামলা করেছি।” বস্তুত, তৃণমূলের ২১ জুলাইয়ের সভাস্থল নিয়ে বিরোধীদের সঙ্গে পুলিশের বিতর্ক নতুন নয়। কিছু দিন আগে পুলিশ বামেদেরও একই যুক্তিতে ওই জায়গায় সভা করতে দেয়নি। বিজেপি-ও এখন তাদের সর্বভারতীয় সভাপতি তথা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সেনাপতি অমিতের সভাস্থল ধর্মতলার ওই জায়গা থেকে সরিয়ে আনতে নারাজ। বরং, পুলিশ-প্রশাসনের উপর চাপ সৃষ্টি করে দাবি আদায় করে নিতে পারলে তৃণমূলকে টক্কর দেওয়ার বার্তা দেওয়া যাবে বলে বিজেপির রাজ্য নেতৃত্ব মনে করছেন। সে জন্যই আদালতের পথে যাওয়ার সিদ্ধান্ত। এর আগে আইনি পথে গিয়েছে বামেরাও।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy