অনেক আবেদন-নিবেদনের পরে সারদা কমিশনে অন্যান্য অর্থ লগ্নি সংস্থার আবেদনকারীদেরও আর্জি শোনার ব্যবস্থা হয়েছে। কিন্তু সোমবার সেখানে হাজির হয়েই এমপিএসের কর্ণধার প্রমথনাথ মান্না জানিয়ে দিলেন, তাঁর সংস্থার আমানতকারীরা আপাতত টাকা ফেরত পাবেন না।
কমিশনের সামনে প্রমথবাবু ব্যাখ্যা দেন, আইনি জটিলতাই আপাতত টাকা ফেরত দিতে না-পারার প্রধান কারণ। তবে সেই জটিলতা ঠিক কী ধরনের, আগামী ৩০ জুনের মধ্যে কাগজপত্র জমা দিয়ে তা জানাতে বলেছে কমিশন। ওই সংস্থার দেওয়া তথ্য ঠিক কি না, তা যাচাই করার জন্য ৮ জুলাই, পরবর্তী শুনানির দিন সেবি-র এক বিশেষজ্ঞ অফিসারকেও হাজির হওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন কমিশনের চেয়ারম্যান, বিচারপতি শ্যামলকুমার সেন।
এমপিএস সংস্থায় টাকা রেখেও তা ফেরত পাচ্ছেন না বলে কয়েক হাজার আমানতকারী গত বছর সারদা কমিশনে অভিযোগ জানিয়েছিলেন। এই পরিপ্রেক্ষিতেই প্রায় এক বছর পরে কমিশনের শুনানিতে হাজির হওয়ার ডাক পান কয়েক জন আমানতকারী। মাসখানেক আগেই তাঁদের আবেদনের ভিত্তিতে কমিশন ওই সংস্থার মালিক প্রমথবাবুকে হাজির হওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল। কিন্তু তিনি আসেননি। কমিশনে হাজির হওয়ার জন্য তাঁর কাছে আবার নোটিস পাঠানো হয়। এ দিন অবশ্য সারদা কমিশনের চেয়ারম্যানের মুখোমুখি হন এমপিএস গ্রিনারি ডেভেলপারস লিমিটেডের ম্যানেজিং ডিরেক্টর প্রমথবাবু।
ওই সংস্থায় টাকা রেখে যাঁরা বিপাকে পড়েছেন, হাওড়ার সন্তু ঘোষ তাঁদের অন্যতম। তিনি বলেন, “কমিশনের চেয়ারম্যান এ দিন প্রমথবাবুর কাছে জানতে চান আমানতকারীর টাকা ফেরত দেবেন কি না? জবাবে প্রমথবাবু জানিয়ে দেন, আইনি জটিলতায় আপাতত টাকা ফেরত দেওয়া যাবে না।” এর পরে প্রমথবাবু কিছু কাগজপত্র দেখান কমিশনের সদস্যদের। কিন্তু সেই সব কাগজপত্র অগোছালো বলে জানায় কমিশন। চেয়ারম্যান শ্যামলবাবু বলেন, “সমস্ত কাগজপত্র ৩০ জুনের মধ্যে জমা দিতে বলা হয়েছে এমপিএস-কর্ণধারকে। এবং ওঁর বক্তব্য ঠিক কি না, তা জেনে নেওয়ার জন্য সেবি-র এক জন পদস্থ অফিসারকেও পরবর্তী শুনানির দিন হাজির থাকতে বলা হয়েছে।”
এমপিএসের লগ্নিকারীদের হতাশ হয়ে ফিরতে হলেও সারদা কমিশন এ দিনই প্রয়াগ ইনফোটেক নামে একটি বেসরকারি অর্থ লগ্নি সংস্থার আমানতকারী অপূর্ব কুণ্ডুর ৮৪০০ টাকা ফেরত পাইয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করেছে। কমিশনের নির্দেশে ওই সংস্থার ডিরেক্টর অরুণাভ গঙ্গোপাধ্যায় কমিশনের সামনেই আমানতকারীর টাকা ফেরত দেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy