Advertisement
E-Paper

জন্মেই ডিএ-র দাবি বিজেপির সংগঠনের

দীর্ঘ আট মাসের চেষ্টায় ভূমিষ্ঠ হল বিজেপি-র সরকারি কর্মী সংগঠন ‘সরকারি কর্মচারী পরিষদ’। শনিবার বিজেপি-র রাজ্য পদাধিকারীদের বৈঠকে ওই সংগঠন অনুমোদন পেয়েছে এবং তার নামকরণ হয়েছে। পরে বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি রাহুল সিংহ বলেন, “এই সংগঠনের প্রথম কনভেনশন হবে জানুয়ারিতে। রাজ্য সরকারি কর্মীদের বকেয়া ৪৯ শতাংশ মহার্ঘ ভাতার দাবিতে এই সংগঠন আন্দোলন করবে। বিজেপি তার পাশে থাকবে।”

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৭ ডিসেম্বর ২০১৪ ০২:১৫

দীর্ঘ আট মাসের চেষ্টায় ভূমিষ্ঠ হল বিজেপি-র সরকারি কর্মী সংগঠন ‘সরকারি কর্মচারী পরিষদ’। শনিবার বিজেপি-র রাজ্য পদাধিকারীদের বৈঠকে ওই সংগঠন অনুমোদন পেয়েছে এবং তার নামকরণ হয়েছে। পরে বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি রাহুল সিংহ বলেন, “এই সংগঠনের প্রথম কনভেনশন হবে জানুয়ারিতে। রাজ্য সরকারি কর্মীদের বকেয়া ৪৯ শতাংশ মহার্ঘ ভাতার দাবিতে এই সংগঠন আন্দোলন করবে। বিজেপি তার পাশে থাকবে।”

সাম্প্রতিক কালে রাজ্য রাজনীতিতে শাসক দল তৃণমূলের প্রধান প্রতিপক্ষ হয়ে ওঠার চেষ্টা করছে বিজেপি। সেই লক্ষ্যেই রাজনৈতিক বা সামাজিক যে কোনও পরিসরেই তৃণমূলের সঙ্গে মানুষের পাশে দাঁড়ানোর প্রতিযোগিতায় নেমে পড়ছে তারা। যেমন ইস্টার্ন মেট্রোপলিটন বাইপাসের ধারে যে ঝুপড়ি পুড়ে গিয়েছে, সেখানে শিবির খুলেছে তৃণমূল এবং বিজেপি দুই শিবিরই। বিজেপি-র শিবিরে খাওয়ানো হয়েছে ডিম এবং তৃণমূলের শিবিরে মুরগির মাংস। সেই প্রসঙ্গ টেনে এ দিন রাহুলবাবু বক্রোক্তি করেন, “আমরা রাজ্য সরকারি কর্মীদের বকেয়া মহার্ঘ ভাতার দাবিতে আন্দোলন করব জেনে রাজ্য সরকার তা দিয়ে দিলে ভাল। আমরা ডিম খাওয়ালে ওরা মুরগি খাওয়াচ্ছে। এ ক্ষেত্রেও ওরা প্রতিযোগিতায় নামলে সরকারি কর্মীদের যদি কপাল খোলে, আমি খুশি হব।”

কিন্তু অন্য রাজ্যে বিজেপি-র সরকারি কর্মচারী সংগঠন নেই। সে সব জায়গায় বিজেপি মনোভাবাপন্ন সরকারি কর্মীরা ভারতীয় মজদুর সঙ্ঘ (বিএমএস) অনুমোদিত রাষ্ট্রবাদী কর্মচারী সঙ্ঘ করেন। যা আরএসএস প্রভাবিত। তা হলে এ রাজ্যে আলাদা কর্মচারী সংগঠন কেন? বিজেপি সূত্রের খবর, রাজ্যের সরকারি কর্মীরা দাবি আদায়ের জন্য শক্তিশালী রাজনৈতিক দলের ছত্রছায়ায় যেতে চান। কিন্তু আরএসএসের মতো কট্টরপন্থী সংগঠনের ছাতার তলায় যেতে তাঁদেরই অনেকেরই আপত্তি আছে। সে জন্যই এ রাজ্যে সরকারি কর্মীদের পৃথক সংগঠন গড়তে হল বিজেপি-কে। আর দলের অন্দরে নিয়মের এই ব্যতিক্রম ঘটাতে গিয়েই নানা মতের টানাপড়েনে সময় লাগল আট মাস। ফরওয়ার্ড ব্লক ছেড়ে আসা অনির্বাণ চৌধুরী সরকারি কর্মচারী পরিষদের আহ্বায়ক। তিনি বলেন, “সরকারি, আধা সরকারি, সরকার পোষিত এবং স্বশাসিত সংস্থার কর্মীদের মধ্যে আমাদের সংগঠন কাজ করবে।

da bjp convention government employee council
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy