কর্মিসভায় অধীর চৌধুরী। শনিবার বিজন থিয়েটারে।—নিজস্ব চিত্র।
রাজ্য রাজনীতিতে ক্রমশ প্রাসঙ্গিকতা হারাচ্ছে কংগ্রেস। পরিস্থিতি পরিবর্তনে জনসংযোগ ছাড়া অন্য কোনও উপায় নেই বলে দলীয় কর্মীদের ফের বার্তা দিয়েছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী।
রাজ্য-রাজনীতির প্রেক্ষাপট ব্যাখ্যা করে শনিবার উত্তর কলকাতায় দলীয় কর্মিসভায় অধীর বলেন, “মানুষের পাশে গিয়ে দাঁড়াতে হবে। মানুষের সঙ্গে কথা বলতে হবে। কথা না বললে মানুষ কংগ্রেসের থেকে সরে যাবে। কংগ্রেস কথা বললে মানুষ আমাদের পাশে দাঁড়াবে।”
তাঁর মতে, মানুষের প্রয়োজনে পাশে দাঁড়ালে কংগ্রেসের উপর তাদের আস্থা ও বিশ্বাস বাড়বে।
শহিদ মিনার ময়দানে ২০ জানুয়ারি কংগ্রেসের সমাবেশের কর্মসূচি রয়েছে। এ দিন সেই সমাবেশের প্রস্তুতি সভার আয়োজন করেছিল উত্তর কলকাতা জেলা কংগ্রেস। সভায় কার্যত আত্মসমলোচনা করেন অধীর। তিনি স্বীকার করেন, বাংলায় কংগ্রেস তার রাজনৈতিক প্রাসঙ্গিকতা ধরে রাখতে ব্যর্থ হয়েছে। রাজনৈতিক দিক থেকে সারদা-কাণ্ড-সহ একের পর এক ঘটনায় তৃণমূল দ্রুত জনসমর্থন হারাচ্ছে এবং সিপিএমও ক্ষয়িষ্ণু শক্তি বলে জানিয়ে অধীর বলেন, “বাংলার রাজনীতিতে এক শূন্যতার সৃষ্টি হয়েছে। বিজেপি সেই শূন্যতা ভরাট করতে চাইছে। এই অবস্থায় কংগ্রেস কর্মীদের মানুষের কাছে যেতে হবে। কথা বলতে হবে।”
রাজ্যে কংগ্রেসের দুর্বল অবস্থা কেন, তা জানাতে গিয়ে অধীর স্বীকার করেন, দিল্লিতে সরকার ধরে রাখতে কখনও বামেদের হাত, কখনও তৃণমূলের হাত ধরায় রাজ্যে সাংগঠনিক দিক থেকে দলের ক্ষতি হয়েছে। সেই সঙ্গে কংগ্রেসের অন্তর্দ্বন্দ্ব তো আছেই। বস্তুত, এ দিনের কর্মিসভাতেই ভিড় ছিল কম। গরহাজির ছিলেন বেশ কিছু নেতাও। অধীর অবশ্য বলেন, “সভায় কে এলেন বা এলেন না, বা সভায় কত লোক, সেটা বড় কথা নয়। আজ লোক কম হলেও কাল সংখ্যাটা বাড়বে।” কিন্তু জনপ্রিয়তা অর্জনের লক্ষ্যে কংগ্রেসকে ক্রমাগত আন্দোলনে থাকতে হবে এবং এ জন্য রাজ্য সরকারের দুর্নীতি-ব্যর্থতা নিয়ে যেমন পথে নামতে হবে, তেমনই বিজেপির সাম্প্রদায়িক রাজনীতির বিরুদ্ধেও লাগাতার প্রচার করতে হবে বলে কর্মীদের পরামর্শ দিয়েছেন অধীর।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy