Advertisement
৩০ এপ্রিল ২০২৪

বিজেপির মিছিলে হানা, মঞ্চে আগুন, অভিযুক্ত তৃণমূল

কলেজ ভোট নিয়ে অশান্তির মাঝে জেলায়-জেলায় ফের বিজেপির উপরে হামলায় নাম জড়াল তৃণমূলের। দলের অফিসে হামলার প্রতিবাদে বর্ধমানের কালনায় মিছিল করছিল বিজেপি। সেই মিছিলেও চড়াও হওয়ার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। রবিবার বিকেলে এই ঘটনায় জখম হন বিজেপির জনা দশেক নেতা-কর্মী। এ দিনই আবার বীরভূমের ময়ূরেশ্বরে বিজেপির নির্মীয়মাণ সভামঞ্চে ভাঙচুর ও আগুন লাগানোর অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কালনা ও ময়ূরেশ্বর শেষ আপডেট: ০৫ জানুয়ারি ২০১৫ ০৩:০৩
Share: Save:

কলেজ ভোট নিয়ে অশান্তির মাঝে জেলায়-জেলায় ফের বিজেপির উপরে হামলায় নাম জড়াল তৃণমূলের।

দলের অফিসে হামলার প্রতিবাদে বর্ধমানের কালনায় মিছিল করছিল বিজেপি। সেই মিছিলেও চড়াও হওয়ার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। রবিবার বিকেলে এই ঘটনায় জখম হন বিজেপির জনা দশেক নেতা-কর্মী। এ দিনই আবার বীরভূমের ময়ূরেশ্বরে বিজেপির নির্মীয়মাণ সভামঞ্চে ভাঙচুর ও আগুন লাগানোর অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে।

কলেজ ভোটে মনোনয়ন নিয়ে গত শুক্রবার টিএমসিপি-এবিভিপি গোলমাল বাধে কালনায়। কলেজ থেকে কিছুটা দূরে বিজেপির যে অফিসে এবিভিপি প্রার্থীরা জড়ো হয়েছিলেন, সেখানে হামলা হয়। তৃণমূলের লোকজন ঢুকে বিজেপি কর্মীদের মারধর ও অফিস ভাঙচুর করে বলে অভিযোগ। দু’দিন পেরিয়ে গেলেও ওই ঘটনায় অভিযুক্তদের কেন ধরা হয়নি, সেই প্রশ্ন তুলে এ দিন মিছিল করে বিজেপি। এলাকায় অশান্তি তৈরির অভিযোগে তৃণমূলও এ দিন রাস্তায় নামার সিদ্ধান্ত নেয়।

বিকেল পৌনে ৫টা নাগাদ বিজেপি-র মিছিল যখন শেষের পথে, তখনই এক জায়গায় তৃণমূলের মিছিল তাদের দিকে এগিয়ে আসে। অশান্তি এড়াতে বিজেপি নেতারা পাশের একটি ছোট রাস্তা দিয়ে মিছিল ঘুরিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। কিন্তু তা সত্ত্বেও তৃণমূলের মিছিল থেকে তাঁদের দিকে ইট-পাটকেল ছোড়া হয় বলে বিজেপির অভিযোগ। হাতাহাতি বেধে যায়। বিজেপির প্রচারগাড়ি, বেশ কিছু ভ্যান ও সাইকেল ভাঙচুর করা হয়। বিজেপির অভিযোগ, মারের চোটে তাদের রাজ্য কমিটির সদস্য স্বপন ভট্টাচার্য-সহ দশ জন জখম হন। স্বপনবাবুর কথায়, “মিছিলের শেষ দিকে ছিলাম। হঠাৎ ওরা চড়াও হয়। মাথায় চোট পেয়েছি।” পুলিশ দেরি করে পৌঁছেছে, এই অভিযোগে ঘণ্টা দেড়েক কালনা থানা ঘেরাও করে বিজেপি। দলের বর্ধমান জেলা সভাপতি রাজীব ভৌমিক বলেন, “সোমবার জেলার নানা জায়গায় অবরোধ কর্মসূচি পালন করা হবে।”

অভিযোগ উড়িয়ে তৃণমূলের বর্ধমান জেলা (গ্রামীণ) সভাপতি তথা রাজ্যের মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ দাবি করেন, “বিজেপির মিছিলের মিনিট পনেরো পরে আমাদের মিছিল শুরু হয়। ওরা নির্দিষ্ট রাস্তায় না গিয়ে আমাদের দিকে এগিয়ে এসে হামলা চালায়। আমাদের বেশ কয়েক জন জখম হয়েছেন।” বর্ধমানের পুলিশ সুপার সৈয়দ মহম্মদ হোসেন মির্জা বলেন, “দু’পক্ষই বিনা অনুমতিতে মিছিল করছিল। পুলিশ সময়ে গিয়ে পরিস্থিতি সামলেছে।”

ময়ূরেশ্বরে বীরচন্দ্রপুর বাসস্ট্যান্ড লাগোয়া মাঠে আজ, সোমবার সভা করার কথা বিজেপি-র বিধায়ক শমীক ভট্টাচার্যের। রবিবার সন্ধ্যায় সেখানে মঞ্চ বাঁধার কাজ চলছিল। দলের জেলা সভাপতি দুধকুমার মণ্ডলের অভিযোগ, “সভা পণ্ড করার জন্য তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা চড়াও হয়ে আমাদের কর্মীদের মারধর করে। মঞ্চে ভাঙচুর চালিয়ে আগুনও ধরিয়ে দেয় তারা।” তৃণমূলের ময়ূরেশ্বর ১ ব্লক সভাপতি অভিজিৎ রায় অবশ্য পাল্টা দাবি করেন, “সভায় লোক হবে না জেনে বিজেপির লোকেরাই আগুন লাগিয়ে নাটক করছে।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

bjp rally attacked tmc kalna mayureswar
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE