ফেসবুকে মুখ্যমন্ত্রীর উদ্দেশে অশালীন মন্তব্য করার অভিযোগে বাপি পালের বিরুদ্ধে আরও দু’টি ধারা মামলায় যোগ করতে আবেদন জানিয়েছিল পুলিশ। বুধবার চাঁচল মহকুমা আদালতের এসিজেএম অর্জুন মুখোপাধ্যায় এই নিয়ে শুনানির পরে জানান, ওই দু’টি ধারা যোগ করা যাবে কি না, সে বিষয়ে নির্দেশ দেওয়া হবে ১১ নভেম্বর।
মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুর থেকে গত ১৪ অক্টোবর রাতে পুলিশ বাপিকে গ্রেফতার করে। প্রথমে বাপির বিরুদ্ধে তথ্য প্রযুক্তি আইনের ৬৬এ ও ৬৭ ধারায় মামলা রুজু করেছিল পুলিশ। দু’টি ধারাই জামিনযোগ্য হলেও, বাপির পক্ষে কোনও আইনজীবী না দাঁড়ানোয় তাঁর ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেয় আদালত। তবে তার দু’দিন পরে বাপির জামিনের আবেদন মঞ্জুর হয়। বাপিকে গ্রেফতারের সময় সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মানা হয়নি বলে জানিয়ে সে দিন পুলিশকে ভর্ত্সনাও করেছিলেন বিচারক তনুময় কর্মকার। সে দিনই মামলায় ভারতীয় দণ্ডবিধির দু’টি জামিনযোগ্য ধারা সংযোজনের আবেদন জানায় পুলিশ। বিচারক জানিয়েছিলেন, সে ব্যাপারে শুনানি হবে এ দিন, বুধবার। এ দিন সেই শুনানির সময় পুলিশের বিরুদ্ধে নিয়ম না মানার অভিযোগ তুলেছেন বাপির আইনজীবীরা। পুলিশের তরফে বাপির বিরুদ্ধে মামলায় আইপিসি-র ৫০৬ এবং ৫০৯ ধারা সংযোজনের আবেদন করা হয়। এর মধ্যে ৫০৬ ধারাটির প্রয়োগ হয় ভীতি প্রদর্শনের অভিযোগে। ৫০৯ ধারাটি প্রয়োগ করা হয় কোনও মহিলার শালীনতাকে অমর্যাদা করার অভিযোগ উঠলে। বাপির আইনজীবীরা এ দিন আদালতে দাবি করেন, ফেসবুকে হুমকি বা ভীতি প্রদর্শন করা হয়নি, সে ক্ষেত্রে কেন ৫০৬ নম্বর ধারা প্রয়োগ করা হবে? সেই সঙ্গেই বাপির আইনজীবী হিমাদ্রীকুমার দাসের দাবি, “৫০৯ ধারাটি প্রয়োগ করতে গেলে সংশ্লিষ্ট মহিলাকেই সেই অভিযোগ জানাতে হয়। সে কথা আদালতে বলেছি।” চাঁচল আদালতের অতিরিক্ত সরকারি আইনজীবী স্বপন নাগ অবশ্য দাবি করেছেন, “নিয়ম মেনেই ধারা দু’টি যোগ করতে সওয়াল করেছি। মুখ্যমন্ত্রী এক জন মহিলা। ফলে এক জন মহিলার পক্ষে ওই মন্তব্য অমর্যাদাকর।” জেলা পুলিশ সুপার প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায় মামলাটি বিচারাধীন বলে মন্তব্য করতে চাননি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy