Advertisement
১৯ মে ২০২৪

মুখ্যমন্ত্রীর মমতায় বাড়ছেন শোভনদেব

ঘরের জায়গা বাড়ল সরকার পক্ষের মুখ্য সচেতক শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়ের। আর শোভনদেববাবুকে জায়গা দিতে গিয়ে আপাতত ‘ঘরছাড়া’ সেচমন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়! বিধানসভায় এসে শুক্রবার প্রথমার্ধের পরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আচমকাই শোভনদেববাবুর ঘরে যান। শোভনদেববাবুর ঘর লাগোয়া তাঁর একান্ত সচিব শ্যামল দেবনাথের ঘরে ঢুকেই দেখেন শাসক দলের বেশ কয়েক জন বিধায়ক এবং মুখ্য সচেতকের সাক্ষাৎপ্রার্থী অনেক মানুষই ওই ঘরে অপেক্ষমান।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৮ জুন ২০১৪ ০৩:২৮
Share: Save:

ঘরের জায়গা বাড়ল সরকার পক্ষের মুখ্য সচেতক শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়ের। আর শোভনদেববাবুকে জায়গা দিতে গিয়ে আপাতত ‘ঘরছাড়া’ সেচমন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়!

বিধানসভায় এসে শুক্রবার প্রথমার্ধের পরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আচমকাই শোভনদেববাবুর ঘরে যান। শোভনদেববাবুর ঘর লাগোয়া তাঁর একান্ত সচিব শ্যামল দেবনাথের ঘরে ঢুকেই দেখেন শাসক দলের বেশ কয়েক জন বিধায়ক এবং মুখ্য সচেতকের সাক্ষাৎপ্রার্থী অনেক মানুষই ওই ঘরে অপেক্ষমান। একটা ঘরে এত লোককে দেখে মুখ্যমন্ত্রী শোভনদেববাবুর কাছে জানতে পারেন, তৃণমূলের বিধায়করা ওই ঘরে এসে বসেন। দোতলায় পরিষদীয় দলের ঘরে তাঁরা প্রায় কেউই যেতে চান না। এর পরই মুখ্যমন্ত্রী যান শোভনদেববাবুর নিজের ঘরে। সেখানেও গুটিকয়েক বসার জায়গা দেখে অসন্তুষ্ট হন। মুখ্যমন্ত্রীকে তখন কথায় কথায় শোভনদেববাবু জানান, ওইটুকু জায়গায় কাজ করতে তাঁর অসুবিধাই হয়।

মুখ্যমন্ত্রী জানতে চান, শোভনদেববাবুর পাশের ঘরটি কার?

সেটি সেচমন্ত্রীর ঘর জানার পরেই মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ, “দোতলায় রাজীবকে ঘর দেওয়া হবে। ওই ঘরটা খুলে নিয়ে আপনার ঘরটা বড় করে নিন।” এমনকী, সেই ঘরে কোথায় বসার জায়গা হবে, তার প্রাথমিক নকশাও মুখ্যমন্ত্রী বাতলে দেন তৎক্ষণাৎ। পরে শোভনদেববাবু জানান, এখন যে ঘরে রাজীববাবু বসছেন, সেখানে তিনি নিজে বসবেন। আর শোভনদেববাবু এখন যে ঘরে বসেন, সেখানে তাঁর একান্ত সচিব বসবেন। দফতরের কাজ হবে ওই ঘরে। একান্ত সচিব যে ঘরে এখন বসছেন, সেখানে বসবেন শুধু বিধায়করা। ওই ঘরে সোফা নয়, শুধু চেয়ার রাখতে বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী।

তাঁর ঘরে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর এমন ঝটিতি নির্দেশে খুশি শোভনদেববাবু। পরে তিনি বলেন, “আজ আমিই মুখ্যমন্ত্রীকে অনুরোধ করেছিলাম আমার ঘরটা ঘুরে দেখতে। ঘর দেখে যে এমন নির্দেশ দেবেন ভাবিনি! ভালই হয়েছে, বিধায়কদের বসার একটা জায়গা হল।” মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ পেয়ে ঘর সম্প্রসারণে পূর্ত দফতরও তৎপর হয়েছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE