Advertisement
E-Paper

রাজ্যে বন্যা নিয়ন্ত্রণে নয়া পদ্ধতি

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০২ মার্চ ২০১৪ ০৮:৩১
রাজ্যের বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে ভার্চুয়াল পোর্টেবল নেটওয়ার্ক (ভিপিএন) পদ্ধতির উদ্বোধনে সেচমন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। শনিবার জলসম্পদ ভবনে। ছবি: শৌভিক দে।

রাজ্যের বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে ভার্চুয়াল পোর্টেবল নেটওয়ার্ক (ভিপিএন) পদ্ধতির উদ্বোধনে সেচমন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। শনিবার জলসম্পদ ভবনে। ছবি: শৌভিক দে।

বন্যা মোকাবিলায় আগাম সতর্কতার ব্যবস্থা নিতে এ বার অন্য পদ্ধতিতে নদীর জলস্তর ও বাঁধের ফাটল জরিপ করবে রাজ্য। শনিবার ভার্চুয়াল পোর্টেবল নেটওয়ার্ক (ভিপিএন) নামে এই পদ্ধতির আনুষ্ঠানিক সূচনা করলেন সেচমন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়।

সেচ দফতর সূত্রের খবর, রাজ্যের বন্যাপ্রবণ এলাকায় বর্ষায় নদীর জলস্তর কতটা ওঠানামা করছে এবং বাঁধে কোনও ফাটল দেখা দিচ্ছে কি না, তা জানতেই অনেক সময় লেগে যেত। সমস্যা হতো বন্যা মোকাবিলাতেও। কারণ, এত দিন নদীর জলস্তর বা বাঁধের অবস্থা সংক্রান্ত তথ্য সংশ্লিষ্ট এলাকা থেকে টেলিফোন বা ফ্যাক্সে ধাপে ধাপে ব্লক ও জেলা কার্যালয়ে পৌঁছত। সেখান থেকে সদর দফতরে তথ্য গেলে রিপোর্ট তৈরি করে তা মন্ত্রী ও প্রশাসনের উচ্চ পর্যায়ে জানানো হতো। এর পরে সেই রিপোর্টের ভিত্তিতে কলকাতায় বৈঠক শেষে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ পাঠাতেন মন্ত্রী। কিন্তু এই হোয়াট্সঅ্যাপ-স্মার্টফোনের জমানায় এত দূর টালবাহানার বিলাসিতা যে সাজে না, তা এ দিন বুঝিয়ে দিয়েছেন তিনি। তাই এই নতুন পদ্ধতি। কী ভাবে এর ব্যবহার করা হবে?

সেচমন্ত্রী জানান, নদী ও বাঁধ-সংক্রান্ত তথ্য এখন বছরভর একটি নির্দিষ্ট কোড নম্বরে মোবাইল থেকে মেসেজ করে দেবেন কতর্ব্যরত আধিকারিক। অনেকটা হোয়াট্সঅ্যাপ গ্রুপের আদলে ইঞ্জিনিয়ার থেকে মন্ত্রী পর্যন্ত সবার কাছে সেই বার্তা সঙ্গে-সঙ্গে পৌঁছে যাবে। ফলে, দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়া যাবে। এর জন্য ৫০০টি বিশেষ মোবাইল ব্যবহার করা হচ্ছে।

বর্ষায় রাজ্যের তিন নদী অববাহিকা গঙ্গা, ব্রহ্মপুত্র ও সুবর্ণরেখার জলস্তর ওঠানামার চিত্র আরও দ্রুত জানার জন্য ‘স্যাটেলাইট টেলিমেট্রি ফ্লাড ওয়ার্নিং সিস্টেম’ নামের প্রযুক্তিও প্রয়োগ করতে চলেছে সেচ দফতর। এই প্রযুক্তিতে প্রতি ১৫ মিনিট অন্তর তিন নদী অববাহিকার জলস্তরের মাপ নিয়ে উপগ্রহ মারফত সেচ দফতরের কন্ট্রোল রুমে পাঠিয়ে দেবে স্বয়ংক্রিয় যন্ত্র। রাজীববাবু বলেন, “কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রকের ছাড়পত্র পেলেই বিশ্ব ব্যাঙ্কের সহযোগিতায় কাজটি করা যাবে।”

সেচের যে কোনও খুঁটিনাটি সমস্যায় আমজনতাকে সাহায্যের পাবলিক রিলেশন সেল-এরও এ দিন সূচনা হল জলসম্পদ ভবনে। উন্নত ই-টেন্ডার ব্যবস্থা চালু ও দফতরের মুখপত্র ‘সেচপত্র’ও প্রকাশিত হয়। রাজীববাবু এ দিন জানান, গত দেড় মাসে সেচ দফতর ২৯৪টি প্রকল্পের কাজ শুরু করেছে। তার জন্য ৫৯৯ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে রাজ্য।

flood control in west bengal rajib bandyopadhyay
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy