ফুসফুসে সংক্রমণ। রক্তচাপ ১৯০/১০০। স্বাভাবিকের তুলনায় অনেকটাই বেশি। দেখা দিয়েছে ‘হার্ট ফেলিওর’-এর নানা লক্ষণও। চিকিৎসাবিদ্যার পরিভাষায় একে বলে ‘হাইপারটেন্সিভ হার্টফেলিওর’। ফের হাসপাতালে ভর্তি হলেন সারদা কেলেঙ্কারিতে জেলবন্দি ক্রীড়া ও পরিবহণমন্ত্রী মদন মিত্র। বুধবার বেলা আড়াইটে নাগাদ তাঁকে এসএসকেএম হাসপাতালের উডবার্ন ওয়ার্ডে ভর্তি করিয়ে দেওয়া হয়েছে।
বিকেলেই ক্রীড়ামন্ত্রীর বেশ কিছু পরীক্ষানিরীক্ষা হয়। এসএসকেএমের অধিকর্তা প্রদীপ মিত্র বলেন, “ওঁকে পরীক্ষা করে ডাক্তারদের মনে হয়েছে, অসুস্থতা যথেষ্ট বেশি। আমাদের অনুমান, উনি নিয়মিত ওষুধ খাচ্ছিলেন না। তাই সমস্যাটা বেড়েছে।” পিজি-প্রধান জানান, ক্রীড়ামন্ত্রীর ফুসফুসে সমস্যা আগে থেকেই ছিল। সেটা আরও বেড়েছে। ঠিকমতো ঘুম হচ্ছে না বলে মনে হচ্ছে। “ওঁকে দেখে মনে হচ্ছে গভীর হতাশা আর অবসাদেও ভুগছেন,” বলছেন প্রদীপবাবু।
এ দিন জেলে অসুস্থ হয়ে পড়ার পরে অ্যাম্বুল্যান্সে চাপিয়ে মদনবাবুকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। অ্যাম্বুল্যান্স থেকে নামার সময় সাংবাদিকেরা ঘিরে ধরতে কিছুটা মেজাজ হারিয়ে ফেলেন পরিবহণমন্ত্রী। হাসপাতালের কর্মীরা পরে জানান, মন্ত্রীর মনমেজাজ খুবই খারাপ। তিনি কারও সঙ্গেই বিশেষ কথাবার্তা বলতে চাইছেন না। এমনকী শারীরিক অবস্থা নিয়ে তাঁকে প্রশ্ন করতে গিয়ে ডাক্তারেরাও তাঁর ধমক খেয়েছেন। খাওয়াদাওয়ার ব্যাপারেও অনীহা প্রকাশ করেছেন তিনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy