Advertisement
E-Paper

স্কুল শিক্ষকই দুই কলেজের অধ্যক্ষ, তদন্তে বিশ্ববিদ্যালয়

তিনি স্কুল শিক্ষক। আবার সঙ্গে দু-দুটি কলেজের অধ্যক্ষও। অভিযোগ, মাসান্তে তিন প্রতিষ্ঠান থেকেই বেতন তুলতেন তিনি। বিষয়টি জানাজানি হতে এস এম বাকিবুল্লাহ নামে ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে পুলিশে অভিযোগের তোড়জোড় শুরু করেছে গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৩ অগস্ট ২০১৪ ০২:৫০

তিনি স্কুল শিক্ষক। আবার সঙ্গে দু-দুটি কলেজের অধ্যক্ষও।

অভিযোগ, মাসান্তে তিন প্রতিষ্ঠান থেকেই বেতন তুলতেন তিনি। বিষয়টি জানাজানি হতে এস এম বাকিবুল্লাহ নামে ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে পুলিশে অভিযোগের তোড়জোড় শুরু করেছে গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গিয়েছে, উত্তর ২৪ পরগনার কাজিপাড়া শহিদুল্লাহ হাইস্কুলে শিক্ষকতা করেন এস এম বাকিবুল্লাহ। বারাসতের কাছে ওই স্কুলে দীর্ঘদিন ইংরেজি পড়াচ্ছেন তিনি। কিন্তু গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের তদন্তে ধরা পড়েছে, স্কুলে শিক্ষকতার পাশাপাশি ক’বছর ধরে দত্তপুকুরের কদম্বগাছি সর্দারপাড়া আদর্শ বিএড কলেজ এবং গাজল বিএড কলেজের অধ্যক্ষের দায়িত্বও সামলাচ্ছেন তিনি।

দত্তপুকুরের ওই বেসরকারি বিএড কলেজটি রাজ্য রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক অনুমোদিত। গাজলের কলেজটিও গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমোদনপ্রাপ্ত। কিছু দিন আগে এ ব্যাপারে গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিষ্ট্রারের কাছে অভিযোগ জানান এক ব্যক্তি। গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের ইন্সপেক্টর অব কলেজেস অপূর্ব চক্রবর্তী তদন্ত করে জানান, খবরটি মিথ্যে নয়। গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার শ্যামসুন্দর বৈরাগ্য বলেন, “অপূর্ববাবুর রিপোর্ট পেয়ে গাজলের ওই বিএড কলেজের অধ্যক্ষকে বিশ্ববিদ্যালয়ে ডেকে পাঠাই। কিন্তু অভিযুক্ত আসেননি। জানতে পেরেছি চিঠি পেয়েই তিনি মালদহ ছেড়ে চলে গিয়েছেন।” তিনি জানান, ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য গোপালচন্দ্র মিশ্র মালদহে ফিরলে ওই অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে থানায় প্রতারণার অভিযোগ করা হবে। গোপালবাবুও ফোনে জানান, “ফিরে ওই অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করা হবে।”

তিনি যে দুটি বিএড কলেজের অধ্যক্ষের পদে ছিলেন তা নিয়ে আড়াল রাখছেন না ওই শিক্ষক। তিনি বলেন, “ওই দুই কলেজে অধ্যক্ষের পদে ছিলাম। তবে মাইনে নিইনি। ওটা নিছকই সাম্মানিক পদ ছিল।” তাঁর দাবি, মালদহের কলেজ থেকে অনেক আগেই ইস্তফা দেন তিনি। বলছেন, “কদম্বগাছির কলেজে ক্লাস নিতে যেতাম, তবে শুধু রবিবার সকালে।” কী বলছেন বারাসতের স্কুল কর্তৃপক্ষ?

কাজিপাড়া শহিদুল্লাহ হাইস্কুলের প্রধানশিক্ষক আকবর আলি বিশ্বাস বলেন, “শিক্ষক হিসেবে কর্তব্যে অবহেলা করেননি ওই শিক্ষক। বাইরে কী করেন তা জানার চেষ্টা করিনি।”

malda barasat school teacher college professor
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy