অভিযান চালিয়ে ১৯ জন জঙ্গিকে খতম করা হয়েছে বলে রবিবার জানাল আফগান সরকার। একই অভিযানে আরও ৮ জন জঙ্গি জখম হয়েছে।
সূত্রের খবর, আফগানিস্তানের পূর্ব-কুনার প্রদেশের দনগম জেলা দখল করে রেখেছে লস্কর-ই-তইবা জঙ্গিরা। ওই এলাকা জঙ্গিমুক্ত করতে শনিবার রাতে সেখানে বিমানহামলা চালায় আফগান সরকার। সরকারের তরফে জানানো হয়, আফগানিস্তান-পাকিস্তান সীমান্তে জঙ্গি কার্যকলাপ বেড়ে গিয়েছিল। দনগম ছিল ওই জঙ্গিদের একটি শক্ত ঘাঁটি। ফলে ওই বিমানহানায় ১৯ জন জঙ্গি খতম হওয়ায় স্বাভাবিক ভাবেই অভিযানকে সফল বলছে আফগান সরকার।
এ দিন সরকারের তরফে এক বিবৃতি দিয়ে বলা হয়েছে, অভিযানে ওই পাক-জঙ্গি গোষ্ঠীর একটি রকেট লঞ্চার এবং একটি মেশিন গানও নষ্ট করে দেওয়া হয়েছে। তবে অভিযান নিয়ে এর বেশি কোনও তথ্য প্রকাশ করেনি সরকার। বিমানহানায় কোনও আন্তর্জাতিক শক্তির সাহায্য নিতে হয়েছে কি না, সাংবাদিকদের সেই প্রশ্নেরও কোনও সদুত্তর মেলেনি।
গত দু’বছর যাবৎ বহু জঙ্গিহানার শিকার হয়েছে আফগানিস্তান। তাতে মারা গিয়েছে শতাধিক মানুষ। তার প্রেক্ষিতেই গত মাসে রাষ্ট্রপুঞ্জের সাধারণ সভায় পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সরব হন আফগান ভাইস প্রেসিডেন্ট সারওয়ার দানেশ। তিনি অঘোষিত যুদ্ধ শুরুর অভিযোগ আনেন পাকিস্তানের বিরুদ্ধে। তালিবান এবং হক্কানির মতো জঙ্গি গোষ্ঠীকে অর্থ দিয়ে মদত দেওয়ারও অভিযোগ তোলা হয় পাকিস্তানের বিরুদ্ধে। আর পাকিস্তানের এই সাহায্যের ফলেই যে জঙ্গিদের এত বাড়বাড়ন্ত, সে কথাও স্পষ্ট জানান তিনি। তার পর থেকেই জঙ্গি অধিকৃত এলাকাগুলিকে মুক্ত করতে অভিযানের প্রস্তুতি চালাচ্ছিল আফগান সরকার।
অন্য দিকে, রবিবার উত্তর আফগানিস্তানের বাঘলান প্রদেশে মর্টার হামলা চালায় জঙ্গিরা। সরকারের তরফে জানানো হয়, ওই হামলায় একই বাড়ির সাত সদস্যের মৃত্যু হয়েছে। মা ও তাঁর ৬ শিশুর দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। গুরুতর জখম আরও একটি বাচ্চাকে উদ্ধার করা হয়েছে। এখনও পর্যন্ত কোনও জঙ্গি গোষ্ঠী এই হামলার দায় স্বীকার করেনি বলে জানিয়েছে সরকার।
ধ্বংসস্তূপের মধ্যেই শুরু হল প্রার্থনা। প্রায় আড়াই বছর আইএস জঙ্গিদের দখলে থাকার পরে
মুক্ত হয়েছে ইরাকের কারাকোশ শহর। জায়গাটা মসুলের কাছেই। বিশ শতকের প্রথম ভাগে তৈরি
এখানকার চার্চ অব ইমাক্যুলেট কনসেপশন ইরাকের সবচেয়ে বড় গির্জা। ছবি: রয়টার্স
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy