Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪

কানসাসে কুপিয়ে খুন ভারতীয় ডাক্তার

কানসাসে পূর্ব উইচিতায় ক্লিনিক চালাতেন অচ্যুত রেড্ডি। গত বুধবার সেখানে এক রোগীর সঙ্গে কিছু ক্ষণ কথা বলেন তিনি। তার পরেই ওই রোগী হঠাৎ তেড়ে যায় অচ্যুতের দিকে। ধাওয়া করে ক্লিনিকের পিছনের গলিতে তাঁকে ধরে ফেলে ওই রোগী। ছুরি দিয়ে বার বার কুপিয়ে খুন করে ৫৭ বছর বয়সি ওই চিকিৎসককে

অচ্যুত রেড্ডি

অচ্যুত রেড্ডি

সংবাদ সংস্থা
কানসাস শেষ আপডেট: ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৭ ০১:৩৫
Share: Save:

আমেরিকায় রোগীর হাতে খুন হলেন মনোরোগ বিশেষজ্ঞ। ঘাতক ও চিকিৎসক দু’জনেই ভারতীয়।

কানসাসে পূর্ব উইচিতায় ক্লিনিক চালাতেন অচ্যুত রেড্ডি। গত বুধবার সেখানে এক রোগীর সঙ্গে কিছু ক্ষণ কথা বলেন তিনি। তার পরেই ওই রোগী হঠাৎ তেড়ে যায় অচ্যুতের দিকে। ধাওয়া করে ক্লিনিকের পিছনের গলিতে তাঁকে ধরে ফেলে ওই রোগী। ছুরি দিয়ে বার বার কুপিয়ে খুন করে ৫৭ বছর বয়সি ওই চিকিৎসককে। ঘাতককে গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতের নাম উমর রশিদ দত্ত। বয়স ২১। তবে সে মনোরোগী কি না, তা স্পষ্ট নয়।

কানসাসেই এই নিয়ে দু’জন ভারতীয় খুন হলেন চলতি বছরে। গত ফেব্রুয়ারিতে নিহত হন তরুণ ইঞ্জিনিয়ার শ্রীনিবাস কুচিভোটলা। তিনি ও অচ্যুত দু’জনেই আদতে তেলঙ্গানার বাসিন্দা। তবে, অচ্যুতের খুনের কারণ জাতিবিদ্বেষ নয় বলেই মনে করছে কানসাসের পুলিশ।

পুলিশ জানিয়েছে, তারা ফোনে ওই ঘটনার খবর পায় সন্ধে ৭টা ২০ নাগাদ। ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, এলাকায় জনপ্রিয় ওই চিকিৎসকের রক্তাক্ত দেহ পড়ে রয়েছে তাঁরই ক্লিনিকের পিছনের গলিতে। শুরু হয় তদন্ত। এরই মধ্যে শহরের অদূরে একটি ক্লাব থেকে এক নিরাপত্তাকর্মী খবর দেন, তাঁদের পার্কিংয়ের জায়গায় গাড়ির মধ্যে এক জন বসে রয়েছে। জামাকাপড় রক্তমাখা। পুলিশ গিয়ে গ্রেফতার করে উমরকে। জেরায় সে জানিয়েছে, তার মা হায়দরাবাদ ও বাবা বেঙ্গালুরুর বাসিন্দা।

যোগ ও ফিটনেস বিশেষজ্ঞ হিসেবেও অচ্যুতের নামডাক ছিল। তাঁর স্ত্রী বীণাও ডাক্তার। তিন সন্তানের বাবা অচ্যুত ছিলেন তেলঙ্গানার নালগোন্ডা জেলার বাসিন্দা। ১৯৮৬ সালে ওসমানিয়া মেডিকেল কলেজ থেকে গ্র্যাজুয়েশন করেন অচ্যুত।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE