পুলিশ জানিয়েছে, ২০১৯ সালে ঘরোয়া অনুষ্ঠানটি হয় সুগেটিস শহরের একটি বাড়িতে। যে বাড়িতে তার জন্মদাতা বাবা-মা কিরক শলটেস জুনিয়র এবং কিমবারলি কুপার থাকতেন। অনুষ্ঠানের দিন রাত থেকে তাকে খুঁজে না পেয়ে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেন পেইসলির আইনগত বৈধ বাবা-মা।
গ্রাফিক: সনৎ সিংহ
বছর দু’য়েক আগে একটি ঘরোয়া অনুষ্ঠানের পর নিখোঁজ হয়ে যায় শিশুকন্যা পেইসলি শলটেস। তার পর থেকে আর কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি তার। অবশেষে বুধবার নিউইয়র্কের সুগেটিস শহর থেকে ওই শিশুকন্যাকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। বাড়ির সিঁড়ির নীচে ভূ-গর্ভস্থ একটি ঘরের মধ্যে তার খোঁজ পাওয়া যায়। সুস্থ আছে শিশুটি। তাকে তার বৈধ বাবা-মার কাছে ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে। জানা গিয়েছে, শিশুটিকে এক প্রকার ‘অপহরণ’ করে লুকিয়ে রেখেছিল তার জন্মদাতা বাবা-মা।
পুলিশ জানিয়েছে, ২০১৯ সালে ঘরোয়া অনুষ্ঠানটি হয় সুগেটিস শহরের একটি বাড়িতে। যে বাড়িতে তার জন্মদাতা বাবা-মা কিরক শলটেস জুনিয়র এবং কিমবারলি কুপার থাকতেন। অনুষ্ঠানের দিন রাত থেকে তাকে খুঁজে না পেয়ে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেন পেইসলির আইনগত বৈধ বাবা-মা। তদন্ত করতে গিয়ে পুলিশের সন্দেহ হয়, তার জন্মদাতা বাবা-মা তাকে অপহরণ করেছে বলে।
প্রসঙ্গত, পেইসলি নিখোঁজ হওয়ার কিছু দিন আগে তার জন্মদাতা বাবা-মা তাকে এবং তার বড় বোনকে নিজের হেফাজতে রাখার একটি আইনি লড়াইয়ে হেরেছিলেন। সেই থেকেই পুলিশের সন্দেহ হয় তাঁরা অপহরণ করে থাকতে পারেন পেইসলিকে।
কিন্তু যত বারই পুলিশের গোয়েন্দারা সুগেটিস শহরে ওই বাড়িতে তদন্তে গিয়েছেন, তত বারই হতাশ হয়ে ফিরে আসেন। দু’জনেই জানান, পেইসলি কোথায় আছে, তাঁরা কিছুই জানেন না।
সুগেটিস শহরের পুলিশ প্রধান জোসেফ সিনাগরা জানিয়েছেন, বুধবার প্রায় এক ঘণ্টা ধরে তদন্ত চালানোর সময় গোয়েন্দারা বাড়ির নীচ তলায় যাওয়ার জন্য একটি সিঁড়ি দেখতে পান। তাঁরা দেখেন, সিঁড়িটি এমন ভাবে নির্মাণ করা হয়েছে, যা স্বাভাবিক নয়। ওই অদ্ভুত সিঁড়িটি দেখে গোয়েন্দাদের সন্দেহ হয়। এর পর তাঁরা সিঁড়ির ফাঁক দিয়ে দু’টি ছোট পা দেখতে পান। সিঁড়ির পাটাতন সরিয়ে পেইসলি এবং তার জন্মদাত্রী মাকে খুঁজে পায়। এক চিলতে, ঠান্ডা ও স্যাঁতস্যাঁতে ঘরটির মধ্যে প্রায় দু’বছর ধরে ছিল পেইসলি।
ছোট্ট ওই কুঠুরি থেকে উদ্ধার করার পর তার স্বাস্থ্য পরীক্ষা করানো হয়। দেখা যায়, শিশুটি সুস্থ আছে। পুলিশ পেইসলিকে তার বৈধ বাবা-মার কাছে ফিরিয়ে দিয়েছে। তার জন্মদাতা মা-বাবাকে এর পর গ্রেফতার করা হয়। পরে জামিনে মুক্ত হন তাঁরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy