Advertisement
E-Paper

টরোন্টোর মন্দিরের সামনে বিক্ষোভ নয়, খলিস্তানপন্থীদের নিয়ে বিতর্কের আবহে নির্দেশ কানাডার আদালতের

টরোন্টোয় লক্ষ্মীনারায়ণ মন্দিরের ১০০ মিটারের মধ্যে কোনও বিক্ষোভ দেখানো যাবে না। সকাল ৮টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত এই নির্দেশ কার্যকর থাকবে। সম্প্রতি এই নির্দেশ দিয়েছে কানাডার এক আদালত।

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

শেষ আপডেট: ০১ ডিসেম্বর ২০২৪ ১৯:১৬
খলিস্তানপন্থীদের পতাকা হাতে বিক্ষোভ।

খলিস্তানপন্থীদের পতাকা হাতে বিক্ষোভ। —ফাইল চিত্র।

কানাডার টরোন্টোয় লক্ষ্মীনারায়ণ মন্দিরের সামনে কোনও বিক্ষোভ দেখানো যাবে না। সম্প্রতি এই নির্দেশ দিয়েছে কানাডার এক আদালত। আদালতের নির্দেশ, ওই মন্দিরের ১০০ মিটারের মধ্যে কোনও বিক্ষোভকারী জড়ো হতে পারবেন না। সম্প্রতি কানাডার ব্রাম্পটনে এক মন্দিরের সামনে খলিস্তানপন্থীদের বিক্ষোভ ঘিরে উত্তেজনা ছড়ায়। মন্দিরের সামনে ভারতীয় দূতাবাসের একটি অস্থায়ী শিবিরও হামলা চালানো হয় বলে অভিযোগ। ওই ঘটনার পর কানাডায় ভারতীয় দূতাবাসের তরফে একাধিক অস্থায়ী শিবির বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এই আবহে লক্ষ্মীনারায়ণ মন্দিরের সামনে বিক্ষোভ রুখতে পদক্ষেপ করল কানাডার আদালত।

কানাডায় বসবাসকারী প্রবাসী ভারতীয়দের সাহায্যের জন্য দূতাবাসের তরফে কানাডার বিভিন্ন প্রান্তে অস্থায়ী শিবির খোলে দূতাবাস। ব্রাম্পটনের ঘটনার পর একাধিক জায়গায় নিরাপত্তাজনিত কারণে অস্থায়ী শিবির বন্ধ রাখতে হয়। তবে টরোন্টোর এই মন্দিরের সামনে দূতাবাসের শিবিরে কোনও প্রভাব পড়েনি। শনিবার এই মরসুমে লক্ষ্মীনারায়ণ মন্দিরের সামনে অস্থায়ী শিবিরের শেষ দিন ছিল। সফল ভাবে পরিষেবা সম্পন্ন হয়েছে। কানাডায় ভারতীয় দূতাবাসের তরফে সমাজমাধ্যমে জানানো হয়েছে, ২৫০-র বেশি মানুষকে পরিষেবা দেওয়া হয়েছে।

মন্দির কর্তৃপক্ষ এক বিবৃতি প্রকাশ করে অস্থায়ী শিবির সফল ভাবে আয়োজনে সাহায্যের জন্য কানাডার পুলিশকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। বিবৃতিতে আরও জানানো হয়েছে, সকাল ৮টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত মন্দিরের ১০০ মিটারের মধ্যে কোনও বিক্ষোভ দেখানো যাবে না বলে নির্দেশ দিয়েছে আদালত। মন্দির চত্বরের নিরাপত্তা এবং পবিত্রতা বজায় রাখার জন্যই আদালত এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে দাবি মন্দির কর্তৃপক্ষের।

খলিস্তানিপন্থী নেতা হরদীপ সিংহ নিজ্জরের হত্যার পর থেকেই কানাডা এবং ভারতের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের অবনতি ঘটেছে। নিজ্জর হত্যাকাণ্ডে ভারতের ‘ভূমিকা’ রয়েছে বলে অভিযোগ করেছিলেন ট্রুডো। যদিও ভারতের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্কে টানাপড়েনের আবহেই কানাডায় দীপাবলি পালন করতে দেখা গিয়েছে ট্রুডোকে। এর মধ্যে ব্রাম্পটনের মন্দিরের সামনে খলিস্তানপন্থীদের বিক্ষোভ এবং ভক্তদের উপর হামলার পর দু’দেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক ঘিরে চর্চা আরও বৃদ্ধি পায়।

ব্রাম্পটনের ঘটনার নিন্দা জানিয়ে বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বলেছিলেন, “কানাডার সরকারের কাছে আমাদের অনুরোধ, এই ধরনের হামলা থেকে সমস্ত উপাসনাস্থলকে রক্ষা করুন। আমরা আশা করি, হামলায় জড়িতদের শাস্তি দেওয়া হবে। কানাডায় থাকা ভারতীয়দের সুরক্ষা ও নিরাপত্তা নিয়ে আমরা উদ্বিগ্ন।” বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র আরও জানিয়েছিলেন, এই ধরনের হামলা চালিয়ে, ভয় দেখিয়ে উপদূতাবাসের আধিকারিকদের থামানো যাবে না।

Khalistani Row Canada
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy