Advertisement
E-Paper

পাকিস্তানে খুন লশকরের আবু কাতাল, কাশ্মীরে বহু হামলার মূলচক্রী, ছিলেন ২৬/১১-র মাথা হাফিজ় সইদের ঘনিষ্ঠও

লশকর-এ-ত্যায়বার অন্যতম শীর্ষপদে ছিলেন আবু কাতাল। ২৬/১১-র মুম্বই হামলার মূলচক্রী হাফিজ় সইদের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ ছিলেন তিনি। শনিবার রাতে তাঁকে গুলি করে খুন করা হয়েছে।

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ১৬ মার্চ ২০২৫ ০৯:২২
Abu Qatal, Lashkar-e-Taiba\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\'s terrorist

২৬/১১ হামলার মূলচক্রী হাফিজ় সইদের সঙ্গে লশকর-এ-ত্যায়বার জঙ্গি আবু কাতাল। ছবি: সংগৃহীত।

পাকিস্তানে নিহত লশকর-এ-ত্যায়বার জঙ্গি আবু কাতাল। তদন্তকারী সংস্থাগুলির খাতায় ‘মোস্ট ওয়ান্টেড’ তালিকায় প্রথম সারিতেই ছিল তাঁর নাম। ২৬/১১-র মুম্বই হামলার মূলচক্রী হাফিজ় সইদের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ ছিলেন কাতাল। তাঁর সঙ্গে মিলে একাধিক হামলা পরিচালনা করেছেন। জম্মু ও কাশ্মীরে বহু সন্ত্রাসবাদী হামলার নেপথ্যে ছিলেন এই কাতাল। শনিবার রাতে পাকিস্তানে তাঁর মৃত্যু হয়েছে।

সংবাদমাধ্যমে দাবি, পাকিস্তানের পঞ্জাব প্রদেশের ঝিলাম জেলায় ছিলেন কাতাল। গাড়ি করে যাওয়ার সময়ে কেউ বা কারা তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি চালান। কাতালের পাশাপাশি তাঁর গাড়ির চালকেরও মৃত্যু হয়েছে। কাতালকে কারা খুন করলেন, তা এখনও স্পষ্ট নয়। হামলাকারীদের চিহ্নিত করা যায়নি। পাকিস্তানে একাধিক নাম নিয়ে ঘুরতেন কাতাল। ফয়সল নাদিম, কাতাল সিন্ধি নামেও তিনি পরিচিত ছিলেন। শনিবার রাতে তাঁর দেহ উদ্ধার করা হয় ঝিলামের ডিনা এলাকা থেকে। তাঁর অন্যতম ঘনিষ্ঠ হাফিজ় এখনও লাহোরের কোথাও লুকিয়ে আছেন বলে দাবি বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে। জানা গিয়েছে, কাতালকে লশকর-এ-ত্যায়বার প্রধান অপারেশনাল কমান্ডার হিসাবে নিযুক্ত করেছিলেন হাফিজ়।

গত বছরের ৯ জুন রিয়াসিতে পুণ্যার্থীদের বাসে হামলা চালানো হয়েছিল। সূত্রের খবর, কাতাল একাই সেই হামলার পরিকল্পনা এবং পরিচালনা করেন। এ ছাড়া, ২০২৩ সালে রাজৌরিতে সন্ত্রাসবাদী হামলার অন্যতম চক্রী ছিলেন কাতাল। ভারতের জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা (এনআইএ)-র এই সংক্রান্ত চার্জশিটে কাতালের নাম রয়েছে। রাজৌরির গ্রামে ওই হামলায় দুই শিশু-সহ সাত জনের মৃত্যু হয়েছিল। এনআইএ-র চার্জশিটে অভিযোগ, কাতাল তাঁর সঙ্গীদের নিয়ে জম্মু ও কাশ্মীরের নানা প্রান্তে হামলার জন্য লশকর জঙ্গিদের পাকিস্তান থেকে পাঠাতেন। উপত্যকায় যাঁরা সংখ্যালঘু, মূলত তাঁদের নিশানা করতেন কাতালরা। আবার সেনাবাহিনীর আধিকারিকেরাও তাঁদের নিশানায় থাকতেন। এনআইএ-সহ বহু তদন্তকারী সংস্থা কাতারের খোঁজ করছিল।

রাজৌরি হামলার ঘটনায় এনআইএ-র চার্জশিটে কাতাল ছাড়াও লশকরের আরও দুই জঙ্গির নাম ছিল। তাঁরা হলেন সইফুল্লা ওরফে সাজিদ জাট এবং মহম্মদ কাশিম। এঁদের মধ্যে কাতাল এবং সাজিদ পাকিস্তানেরই নাগরিক। কাশিম ২০০২ সালে ভারত থেকে পাকিস্তানে চলে যান এবং লশকরে যোগ দেন।

Lashkar-e-Taiba Terrorist Pakistan
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy